অস্তিত্বের জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমাবদ্ধ রাখতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি মানুষের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘‘যদি ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছে যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক হয়ে যায় এবং ২০৫০ সালের মধ্যে আমরা ‘নেট জিরো’ অর্জন করতে পারি, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এখনো এড়ানো যাবে। তবে এর জন্য দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।’’ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘দ্য আনঅ্যাভয়েডেবল মাস্টার রিস্ক? অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট ওভারশ্যুট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে খরা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে, যা জাতীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে। আর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে বর্তমানে যে বিপর্যয়কর বাস্তবতা চলছে, তা আরো খারাপ করে তুলবে।’ তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যেই আরো ঘন ঘন এবং চরম আবহাওয়াগত ঘটনা ঘটছে, যা লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখ বাংলাদেশি (জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের পুরো জনসংখ্যার সমান) জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্ছেদ হবে, যা এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের নম্বর এক চালক শক্তি করে তুলবে।’ সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।’ কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ ও সৌর বিকিরণ পরিবর্তনের মতো অ-পরীক্ষিত প্রযুক্তির পাশাপাশি আমাদের প্রশমন, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও বনায়ন ইত্যাদি কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন কোস্টারিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জলবায়ু ওভারশ্যুট কমিশনের কমিশনার কার্লোস আলভারাডো কুয়েসাদা, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার এবং ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির জন্য ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ। SHARES জাতীয় বিষয়: #পরিবেশমন্ত্রী
মানুষের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘‘যদি ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছে যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক হয়ে যায় এবং ২০৫০ সালের মধ্যে আমরা ‘নেট জিরো’ অর্জন করতে পারি, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এখনো এড়ানো যাবে। তবে এর জন্য দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।’’ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘দ্য আনঅ্যাভয়েডেবল মাস্টার রিস্ক? অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট ওভারশ্যুট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে খরা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে, যা জাতীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে। আর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে বর্তমানে যে বিপর্যয়কর বাস্তবতা চলছে, তা আরো খারাপ করে তুলবে।’ তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যেই আরো ঘন ঘন এবং চরম আবহাওয়াগত ঘটনা ঘটছে, যা লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখ বাংলাদেশি (জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের পুরো জনসংখ্যার সমান) জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্ছেদ হবে, যা এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের নম্বর এক চালক শক্তি করে তুলবে।’ সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।’ কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ ও সৌর বিকিরণ পরিবর্তনের মতো অ-পরীক্ষিত প্রযুক্তির পাশাপাশি আমাদের প্রশমন, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও বনায়ন ইত্যাদি কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন কোস্টারিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জলবায়ু ওভারশ্যুট কমিশনের কমিশনার কার্লোস আলভারাডো কুয়েসাদা, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার এবং ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির জন্য ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ।