‘বিদেশে কর্মীদের কাজ না পাওয়ার বিষয়ে তদন্ত চলছে’

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘বিদেশে গিয়ে কর্মীরা কেন কাজ পাচ্ছে না সে বিষয় তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আমাদের মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসগুলো কাজ করছে। তাদের তদন্তের ভিত্তিতে আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের আয়োজিত বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

 

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ যেভাবে কর্মী পাঠাচ্ছে আমরাও সেভাবেই কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করছি। তবে অন্যান্য দেশের চাইতে আমরা একটু পিছিয়ে রয়েছি। আমরা এখনো দক্ষ কর্মী প্রেরণে সক্ষম হইনি। আমরা দক্ষ কর্মী তৈরি করব এবং বিদেশে পাঠাব।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশে যারা কর্মসংস্থানের জন্য যাচ্ছেন, আমি মনে করি তারা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আজকে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানো অন্তত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অর্থ খরচ করে বিদেশ গিয়ে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে। সেই জায়গায় এই কর্মীরা চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে কোনো অর্থ খরচ না করেই বিদেশ যাচ্ছেন।’

 

আমি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বলতে চাই আপনারা দক্ষ কর্মী প্রেরণ করার চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ১১০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আমরা স্বচ্ছ ও সুন্দর করে গড়ে তুলব। আমরা নানা ধরনের সরঞ্জামাদি ক্রয় করছি। পাশাপাশি আমরা দক্ষ প্রশিক্ষকও নিয়োগ দিচ্ছি।’

এদিকে বিনা খরচে ৫০ জন কর্মী মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল।

কর্মীরা আজ রাতে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। এই ৫০ জন নিয়ে পাঁচ ধাপে বিনা খরচে ২৩৫ জন কর্মী পাঠিয়েছে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল। 

এ বিষয় ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জামাল আবু জায়েদ বলেন, ‘আইএলও ফেয়ার রিক্রুটমেন্ট ইনিশিয়েটিভের আলোকে উচ্চ অভিবাসন ব্যয় রোধে স্বনামধন্য কিছু আন্তর্জাতিক কম্পানি জিরো কস্ট মাইগ্রেশন পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগে সম্মত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশগামী কর্মীর পাসপোর্ট থেকে শুরু করে বিমান টিকিট পর্যন্ত সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবে। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর অভিবাসন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ইনস্যুরেন্স ও বাসস্থানসহ সব খরচ মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বহন করবেন। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন। ১৫০০ রিঙ্গিত বেসিক বেতন ও দুই ঘণ্টা ওভারটাইমে একজন কর্মী মাসে আয় করবেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। যা মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো দেশের শ্রমিকের আয় থেকে দ্বিগুণ।’