মতিয়া চৌধুরী জাতীয় সংসদের উপনেতা

প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩

১৩ জানুয়ারি ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

জাতীয় সংসদের উপনেতা হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ ভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে স্পিকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভার শুরুতে কয়েকজন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। এরপর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সংসদ উপনেতা নিয়ে কথা তোলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের প্রয়াত নেত্রী বেগম সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর সংসদ উপনেতার পদ খালি রয়েছে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী এই পদে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করছি। তার এই প্রস্তাব সমর্থন করেন সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন। এরপর সবাই করতালিতে স্বাগত জানান নতুন এই সংসদ উপনেতাকে।

২০০৯ সালের পর টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। সংসদে দলটির এখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। ২০০৯ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংসদ উপনেতার পদে ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ মারা যান। এরপর থেকেই সংসদ উপনেতার পদটি ফাঁকা ছিল। মন্ত্রী পদমর্যাদার এ পদে বরাবরই জ্যেষ্ঠ কোনো নেতাকে বসিয়েছে আওয়ামী লীগ। সংসদ উপনেতার পদে সংসদের ভোটাভুটির প্রয়োজন হয় না। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী তার অভিপ্রায়ের কথা স্পিকারের কাছে প্রকাশ করেন। এরপর স্পিকার সেটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান। প্রজ্ঞাপন হলে সংসদ উপনেতার শপথ নিতে হয় না। তবে সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করেন।

সাজেদা চৌধুরী মারা যাওয়ার পরই মতিয়া চৌধুরীর এ পদে আসার বিষয়টি দলে আলোচিত হয়। কিন্তু সংসদের গত অধিবেশনে আলোচনা থাকার পরও এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। মতিয়া চৌধুরী পাঁচবারের সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার একাধিকবার সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসাবে আছেন মতিয়া চৌধুরী। দলটি বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় তাকে রাজপথে আন্দোলন-কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। রাজপথের লড়াই-সংগ্রামের কারণে তিনি ‘অগ্নিকন্যা’ হিসাবে পরিচিতি পান। সাদাসিধে জীবনযাপনে অভ্যস্ত মতিয়া চৌধুরীর ছাত্রজীবন থেকে এখনো রাজনীতিই আঁকড়ে আছেন।