বিএনপি নেতা আমানের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। আজ বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।’ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আমান দম্পতির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চাইলেও তা খারিজ হয়। পরে আমান দম্পতির আপিলের পুনঃশুনানি করে গত বছর ৩০ মে বিচারিক আদালতের দণ্ড ও সাজা বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ের অনুলিপি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের এ রায় প্রকাশ পেলে আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান। আর ১০ সেপ্টেম্বর আমান আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আবুল কাশেম। এরপর তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে (লিভটু আপিল) আবেদন করেন। এ আবেদনের সঙ্গে জামিন আবেদনও করেন তিনি। গত ৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আমানকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। শুনানির পর গত ১৪ জানুয়ারি আমান হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি পান। এর মধ্যে ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সে জামিন আবেদনে শুনানির পর তাকে জামিন দিলেন সর্বোচ্চ আদালত। SHARES রাজনীতি বিষয়: #বিএনপি নেতা
নিজস্ব প্রতিনিধি সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। আজ বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।’ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আমান দম্পতির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চাইলেও তা খারিজ হয়। পরে আমান দম্পতির আপিলের পুনঃশুনানি করে গত বছর ৩০ মে বিচারিক আদালতের দণ্ড ও সাজা বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ের অনুলিপি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের এ রায় প্রকাশ পেলে আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান।
আর ১০ সেপ্টেম্বর আমান আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আবুল কাশেম। এরপর তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে (লিভটু আপিল) আবেদন করেন। এ আবেদনের সঙ্গে জামিন আবেদনও করেন তিনি। গত ৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আমানকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। শুনানির পর গত ১৪ জানুয়ারি আমান হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি পান। এর মধ্যে ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সে জামিন আবেদনে শুনানির পর তাকে জামিন দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।