দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ শাখা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা ফিরোজ খান, তার শ্যালক হাসান মুন্না ও মুন্নার শ্যালক মো. রিয়াজ। তাদের সবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়। তাদের কাছ থেকে অনেক সাংবাদিকের পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন মডেলের ১১টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটর ২৯টি সিম কার্ড ও দুদক কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনায় দুদক বাদী হয়ে ডিএমপির রমনা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কয়েকটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়। এরই সূত্র ধরে মামলার তদন্তে নেমে গত রবিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘শ্যালক-দুলাভাইসহ পারিবারিক এই প্রতারক চক্রটি কখনো সাংবাদিক আবার কখনো দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করত। আর এই পরিচয়ের জন্য তারা বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশনের সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড এবং দুদক কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন। দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি-অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেই চক্রটি তাদের টার্গেট করত। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট থেকে ফোন নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য নিয়ে প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা হয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়। এরপর কিছু দিন পরে দুদকের সহকারী পরিচালক পরিচয়ে ফোন করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন বলে দেওয়ার কথা বলে।’ দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রথমে সাংবাদিক ও দুদকের সহকারী পরিচালক পরিচয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ওয়ার্ড কমিশনারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিউজ হলে প্রতারণা শুরু করত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সাংবাদিক পরিচয়ে নিউজের বিষয়ে জানিয়ে সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে নানাভাবে আলোচনা করত। এরপর দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তনের কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত।’ তাদের ব্যবহার করা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাম্বারগুলো বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা একাধিক পত্রিকা ও টিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার এর পরিচয় পত্র ব্যবহার করে এই সকল প্রতারণার করত।’ ডিবি প্রধান বলেন, ‘অভিযানে প্রতারকদের কাছ থেকে তিনটি সিম উদ্ধার করা হয় যা তারা দুদক পরিচয়ে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করত। এই চক্রটির বিরুদ্ধে একই অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।তাদের প্রতারণার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’ SHARES জাতীয় বিষয়: #দুদক কর্মকর্তা
প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ শাখা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা ফিরোজ খান, তার শ্যালক হাসান মুন্না ও মুন্নার শ্যালক মো. রিয়াজ। তাদের সবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়। তাদের কাছ থেকে অনেক সাংবাদিকের পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন মডেলের ১১টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটর ২৯টি সিম কার্ড ও দুদক কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনায় দুদক বাদী হয়ে ডিএমপির রমনা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কয়েকটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়। এরই সূত্র ধরে মামলার তদন্তে নেমে গত রবিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘শ্যালক-দুলাভাইসহ পারিবারিক এই প্রতারক চক্রটি কখনো সাংবাদিক আবার কখনো দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করত। আর এই পরিচয়ের জন্য তারা বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশনের সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড এবং দুদক কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন। দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি-অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেই চক্রটি তাদের টার্গেট করত। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট থেকে ফোন নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য নিয়ে প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা হয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়।
এরপর কিছু দিন পরে দুদকের সহকারী পরিচালক পরিচয়ে ফোন করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন বলে দেওয়ার কথা বলে।’ দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রথমে সাংবাদিক ও দুদকের সহকারী পরিচালক পরিচয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ওয়ার্ড কমিশনারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিউজ হলে প্রতারণা শুরু করত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সাংবাদিক পরিচয়ে নিউজের বিষয়ে জানিয়ে সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে নানাভাবে আলোচনা করত। এরপর দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তনের কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত।’ তাদের ব্যবহার করা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাম্বারগুলো বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা একাধিক পত্রিকা ও টিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার এর পরিচয় পত্র ব্যবহার করে এই সকল প্রতারণার করত।’ ডিবি প্রধান বলেন, ‘অভিযানে প্রতারকদের কাছ থেকে তিনটি সিম উদ্ধার করা হয় যা তারা দুদক পরিচয়ে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করত।
এই চক্রটির বিরুদ্ধে একই অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।তাদের প্রতারণার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’