বিমানবন্দর সড়কে দিনভর যানজট সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩

বিমানবন্দরমুখী সড়কে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের মাত্রা বাড়তে থাকে। সারাদিনই অন্তহীন যানজটের কবলে নাকাল হয়েছে হাজারো মানুষ। অফিসগামী মানুষ, বিমানের যাত্রী ও হাসপাতালের রোগীসহ সবার যানজটের কবলে নাভিশ্বাস উঠে।

বিশ্ব ইজতেমামুখী মানুষের চাপে সপ্তাহের শেষ দিন বিমানবন্দর সড়কে যানজটে অনেকে বিমানের ফ্লাইট মিস করেছেন। সড়কে দীর্ঘসময় আটকে থেকে অনেককে অফিসে না গিয়ে হেঁটে বাসায় চলে গেছেন। ব্যবসা, স্কুল, কলেজ বা সামাজিক কর্মসূচিতে যে যেখানে যেতে চেয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ সে অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেননি।

জানা যায়, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় তীব্র যানজট ছিল ভোর থেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাখালী, কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, মিরপুরের কালশী পর্যন্ত সড়ক প্রায় অচল হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানীতে।

সকাল থেকে তীব্র যানজটে অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বড় বিপাকে। গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

মহাখালীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ভোর থেকেই বিমানবন্দর সড়কের দিকে যানবাহনের গতি কমে যায়। সকালে কোনো গাড়ি উত্তরার দিকে যাচ্ছিল না। গাড়ির জট তেজগাঁও পর্যন্ত দেখা যায়। তবে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। এরপরও দিনভর যানজটের ধকল ছিল। বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট হওয়ায় এই সড়কে গণপরিবহন চলাচলও কমে যায়। এতে নগরবাসীকে চলাচলেও সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দলে দলে মানুষ যাচ্ছে গাজীপুরের টঙ্গীর দিকে, তারই প্রভাব সড়কে পড়েছে। আজ ভোরে শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিতা। তাতে যোগ দিতে বুধবার থেকেই টঙ্গীমুখী মানুষর ভিড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পরিপূর্ণ হয়েছে ইজতেমা মাঠ। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে। সেদিন আরও অনেকেই মোনাজাতে যোগ দিতে টঙ্গীর পথ ধরবেন।

বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের। ফ্লাইট ধরতে অনেকেই লাগেজ নিয়ে পায়ে হেঁটে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।

মনির হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ফার্মগেইট থেকে তিনি প্রতিদিন উত্তরা যান অফিস করতে। কিন্তু সকালে মহাখালী ফ্লাইওভার পার হতেই তার ২ ঘণ্টা লেগেছে। পরে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছেন।