বায়ু দূষণ রোধে নির্মল বায়ু আইন প্রণয়নসহ ৯ দাবি বাপার

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে প্রদত্ত স্মারকলিপিতে এই দাবি জানানো হয়। এরআগে পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাপা’র সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার।

বাপার পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, বাযু দূষণ রোধে নির্মল বায়ু আইন প্রণয়নের পাশাপাশি নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণ স্থান ঘেরাও দিয়ে রাখতে হবে এবং নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নিতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে দূষিত শহরে প্রতিদিন পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, ডেসাসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
নগরের বিভিন্ন ব্যস্ততম স্থানে তাৎক্ষণিক বায়ুমান প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ ক্যাডার সার্ভিস এবং পরিবেশ পুলিশ চালু ও পরিবেশ আদালত আরো কার্যকর করতে হবে। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বায়ুদূষণের দেশ হিসেবে শীর্ষে বাংলাদেশ, নগর হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। গত ১৯ মার্চ সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বিশ্বের ১৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার নজরদারি স্টেশন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম।

এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ১৬ গুণ বেশি। বাপা মনে করে বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির জন্য এটি অত্যন্ত অপমান ও লজ্জাজনক ঘটনা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, উদ্যোগ ও যথাযথ তদারকির অভাবে দেশের বৃক্ষশোভিত বন, গ্রাম ও শহরের সবুজ এলাকাগুলো এখন নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দূষণ বাড়ছে। দেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ যথাযথ সংরক্ষণে যথোপযুক্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে। 

বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন বাপা’র সহসভাপতি মহিদুল হক খান, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, আমিনুর রসুল, হাসান ইউসুফ খান ও হুমায়ুন কবির সুমন, আরডিআরএস’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, বাপা’র জাতীয় কমিটির সদস্য যথাক্রমে মো. হাফিজুল ইসলাম, হাজী শেখ আনছার আলী, শাকিল কবির, মোনছেফা তৃপ্তি ও তিতলি নাজনিন।