জুয়া খেলে কোটি টাকা ঋণ, পাওনাদারদের চাপে স্ত্রীর আত্মহত্যা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি ২০২১ সাল থেকে ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরে আসছেন প্রকৌশলী দর্শন বাবু। তবে বাজিতে হেরে যেতেন কর্ণাটকের দর্শন বাবু। এভাবে দেনা করে ফেলেন এক কোটি রুপির বেশি। আর এদিকে পাওনাদারদের যন্ত্রণায় সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন তার ২৩ বছর বয়সী স্ত্রী রঞ্জিতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজ বাড়িতে রঞ্জিতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবার জানিয়েছে, দর্শন ১ কোটির বেশি রুপি ঋণ নিয়েছিলেন। প্রকৌশলী হিসেবে হোসাদুর্গা এলাকার মাইনর ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন দর্শন। ২০২১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আইপিএলের বাজির ফাঁদে পড়েন। দর্শনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জুয়ায় হেরে তিনি সব অর্থ হারিয়ে নতুন করে বড় বাজি ধরতে প্রায়ই টাকা ধার করতেন। সম্প্রতি তার ওপর ৮৪ লাখ রুপির দেনা ঝুলছিল। রঞ্জিতা ২০২০ সালে দর্শনকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি ২০২১ সালে দর্শনের বাজি বা জুয়া খেলার বিষয়টি জানতে পারেন বলে তার বাবা ভেঙ্কটেশ জানিয়েছেন। অভিযোগে ভেঙ্কটেশ বলেছেন, তার মেয়েকে পাওনাদাররা ক্রমাগত হয়রানি করে আসছিল। সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। মোট ১৩ জন পাওনাদারের কথা জানিয়েছেন ভেঙ্কটেশ। তিনি আরো জানান, দ্রুত অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখিয়ে তার জামাইকে এই বাজি খেলতে বাধ্য করত তারা। ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘দর্শন বাজি ধরতে চাইত না। কিন্তু সন্দেহভাজনরা তাকে জোর করত। তারা বলেছিল, এটা ধনী হওয়ার সহজ উপায়।’ পুলিশ একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে, যেখানে রঞ্জিতা পাওনাদারদের হয়রানির শিকার হওয়ার বিস্তারিত বর্ণনা লিখে গেছেন। দর্শনা ও রঞ্জিতার দুই বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #জুয়াআত্মহত্যা
২০২১ সাল থেকে ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরে আসছেন প্রকৌশলী দর্শন বাবু। তবে বাজিতে হেরে যেতেন কর্ণাটকের দর্শন বাবু। এভাবে দেনা করে ফেলেন এক কোটি রুপির বেশি। আর এদিকে পাওনাদারদের যন্ত্রণায় সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন তার ২৩ বছর বয়সী স্ত্রী রঞ্জিতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজ বাড়িতে রঞ্জিতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবার জানিয়েছে, দর্শন ১ কোটির বেশি রুপি ঋণ নিয়েছিলেন। প্রকৌশলী হিসেবে হোসাদুর্গা এলাকার মাইনর ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন দর্শন।
২০২১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আইপিএলের বাজির ফাঁদে পড়েন। দর্শনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জুয়ায় হেরে তিনি সব অর্থ হারিয়ে নতুন করে বড় বাজি ধরতে প্রায়ই টাকা ধার করতেন। সম্প্রতি তার ওপর ৮৪ লাখ রুপির দেনা ঝুলছিল। রঞ্জিতা ২০২০ সালে দর্শনকে বিয়ে করেছিলেন।
তিনি ২০২১ সালে দর্শনের বাজি বা জুয়া খেলার বিষয়টি জানতে পারেন বলে তার বাবা ভেঙ্কটেশ জানিয়েছেন। অভিযোগে ভেঙ্কটেশ বলেছেন, তার মেয়েকে পাওনাদাররা ক্রমাগত হয়রানি করে আসছিল। সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। মোট ১৩ জন পাওনাদারের কথা জানিয়েছেন ভেঙ্কটেশ। তিনি আরো জানান, দ্রুত অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখিয়ে তার জামাইকে এই বাজি খেলতে বাধ্য করত তারা।
ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘দর্শন বাজি ধরতে চাইত না। কিন্তু সন্দেহভাজনরা তাকে জোর করত। তারা বলেছিল, এটা ধনী হওয়ার সহজ উপায়।’ পুলিশ একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে, যেখানে রঞ্জিতা পাওনাদারদের হয়রানির শিকার হওয়ার বিস্তারিত বর্ণনা লিখে গেছেন। দর্শনা ও রঞ্জিতার দুই বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি