নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যকে বরণ

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিত্সক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করেন।

নতুন উপাচার্য দীন মো. নূরুল হক প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে দোয়া ও মোনাজাত করার পর দপ্তরে গেলে সদ্য বিদায়ী উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ তাকে চেয়ারে বসিয়ে দেন এবং নতুন উপাচার্যকে ফুল দিয়ে সাবেক উপাচার্যকে বিদায় জানান।

এরপর দুপুর দেড়টার পর সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন উপাচার্যকে বরণ শেষ হয়। এ আয়োজন উপভোগ করার জন্য তার স্ত্রী, দুই ছেলে, নাতিসহ অন্য আত্মীয়স্বজন এসেছেন বলেও জানান নতুন উপাচার্য। 

সংবাদ সম্মেলনে নূরুল হক জানান, বিএসএমএমইউ দেশের বিভিন্ন চিকিত্সাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। সেটি যেন স্বচ্ছ হয় এবং উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষকেরা অবদান রাখতে পারেন, সে ধরনের শিক্ষক তৈরি করতে সাহায্য করবেন।

বিএসএমএমইউর চিকিত্সার মান সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পর্যায়ে তিনি নিয়ে যেতে চান। গবেষণার জন্য যা যা লাগবে, সবই দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয় একটাই, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক। আমি শেখ হাসিনার লোক।

আমি এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করা লোক। এ কারো গ্রুপের লোক নই। আমার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটার মূল্যায়ন করতে চাই। এটাকে পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছি।’
 

সংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে নূরুল হক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি সৎ থাকে অর্থেক কাজ এমনিতেই হয়ে যায়। আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করবেন।’

সদ্য সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি টাকা ছাড়া কোনো নিয়োগ ও পদোন্নতি দেননি। এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জবাবে নতুন এ উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের  নিজস্ব আইন আছে, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল আছে, সিন্ডিকেট আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকানুন মেনে যেটা ন্যায হবে সেটাই করব।’