ঈদ বাজারে আরামদায়ক পোশাকের চাহিদা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সামনে খোলা জায়গায় বসেছিলেন আমিনুল ইসলাম। সঙ্গে স্ত্রী ও দুই ছেলে। তাঁরা এসেছেন পল্লবী থেকে। সকালে কেনাকাটা করতে ঢুকেছিলেন। পছন্দের পোশাক বাছাই করতে করতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেছে টেরই পাননি। খোলা জায়গায় তখন শীতল বাতাস বইছে। সেখানে বসে কী কী কেনা হলো তা আরেকবার দেখে নিচ্ছিলেন সবাই। আমিনুল তাঁর ছেলের পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কিনেছেন সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা, পোলো শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট। তাই বের করে দেখছিলেন। দেখা গেল পাঞ্জাবিতে রয়েছে লাল, হলুদ আর নীল রঙের ছটা। তবে অন্য কোনো পোশাক বের করে দেখার আর সুযোগ পেল না পরিবারটি। আচম্বিতে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল। কয়েক মিনিটের ভেতর থেমেও গেল চৈত্র মাসের হঠাৎ বৃষ্টি। ততক্ষণে খোলা জায়গা ছেড়ে সবাই শপিং মলের ভেতরে। বাঙালি মুসলমানের বড় আনন্দ উৎসব ঈদুল ফিতর প্রায় দোরগোড়ায়। সাধ্যের তফাত থাকলেও এই উৎসব উদযাপনে উৎসাহের অভাব বা কার্পণ্য থাকে না কারো। দীর্ঘদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। শহর-নগর ছেড়ে গ্রামে ফিরে সবাই মিলে উদযাপনের চেষ্টা থাকে। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশের পোশাকের ফ্যাশনের নতুন ধারাও ঠিক হয় বলা যায়। বার্ষিক ব্যবসার বড় মৌসুমটা যে এ সময়ই। এবারও মৌসুম আর উৎসবের মেজাজ মাথায় রেখে পোশাকের নকশা করেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। এবার ঈদ আর নববর্ষ আসছে হাত ধরাধরি করে। ঈদুল ফিতরের উচ্ছ্বাস ফিকে হতে না হতেই পহেলা বৈশাখ আসবে সাড়ম্বরে। মাত্র দু-তিন দিনের ব্যবধানে দুটি বৃহৎ উৎসব হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে পোশাকের কাপড়ে ও নকশায়। ক্রেতারাও পোশাক কিনতে গিয়ে বিষয়টি বেশ মাথায় রাখছে। গরমকালের ঈদের পোশাকে স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্ব পাচ্ছে আরামের বিষয়টি। বরাবরের মতোই উজ্জ্বল রং প্রাধান্য পেলেও সমান্তরালে হালকা রঙের একটি ধারাও তৈরি হয়েছে। এর বাইরে কিছুটা ঢোলা পোশাকের ধারা দেখা যাচ্ছে এবার। মেয়েদের কামিজের ঝুল ও ঘের বেড়েছে অনেকটাই। বসুন্ধরা শপিং মলের লেভেল টুতে ইল্লিয়িন, এমব্রেলা, ইক্সটাসি, লুবনান, ইনফিনিটি, দর্জিবাড়ি, ক্যাটস আই এবং লেভেল থ্রিতে ইজি ও জেন্টলপার্কে পাঞ্জাবি বেচাকেনার ধুম দেখা গেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। জেন্টলপার্ক এবার ছেলেদের জন্য এনেছে কাবলি পাঞ্জাবি। কয়েক বছর ধরে পাঞ্জাবির এই ধরনটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে নতুন করে। ফ্যাশন হাউস এমব্রেলার শাখা ব্যবস্থাপক জানালেন, তাঁদের পাঞ্জাবি-থ্রিপিসসহ অন্যান্য পোশাকে এবার ঈদের সঙ্গে বৈশাখের নকশা ও রঙের ছোঁয়া রয়েছে। রয়েছে কৃষ্ণচূড়ার রং ও নকশার ছটা। অনায়াসে একটি পোশাক দিয়ে দুটি উৎসব কাটিয়ে দেওয়া যাবে। এবার নারী-পুরুষের বেশির ভাগের পোশাকেই রয়েছে গ্রীষ্মের রং। সুতি, লিলেন, সিল্ক ও ভিসকসের কাপড়ে আছে রঙের উজ্জ্বল উপস্থিতি। তাতে রয়েছে ব্লক, প্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ। ফ্যাশন হাউস লা রিভের পোশাকে প্রাধান্য সতেজ সবুজ ও গাঢ় বাদামি রঙের। বসুন্ধরা শপিং মলের দেশীদশে উজ্জ্বল ও হালকা দুই রকম রঙের পোশাকই দেখা গেল। গরমের কারণে সুতি ও পাতলা কাপড়ের জমকালো পোশাক মেয়েদের বেশি আকৃষ্ট করছে বলে জানিয়েছেন এখানকার কয়েকজন বিক্রেতা। SHARES জাতীয় বিষয়: #ঈদ বাজারপোশাক
রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সামনে খোলা জায়গায় বসেছিলেন আমিনুল ইসলাম। সঙ্গে স্ত্রী ও দুই ছেলে। তাঁরা এসেছেন পল্লবী থেকে। সকালে কেনাকাটা করতে ঢুকেছিলেন।
পছন্দের পোশাক বাছাই করতে করতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেছে টেরই পাননি। খোলা জায়গায় তখন শীতল বাতাস বইছে। সেখানে বসে কী কী কেনা হলো তা আরেকবার দেখে নিচ্ছিলেন সবাই। আমিনুল তাঁর ছেলের পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কিনেছেন সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা, পোলো শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট।
তাই বের করে দেখছিলেন। দেখা গেল পাঞ্জাবিতে রয়েছে লাল, হলুদ আর নীল রঙের ছটা। তবে অন্য কোনো পোশাক বের করে দেখার আর সুযোগ পেল না পরিবারটি। আচম্বিতে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল।
কয়েক মিনিটের ভেতর থেমেও গেল চৈত্র মাসের হঠাৎ বৃষ্টি। ততক্ষণে খোলা জায়গা ছেড়ে সবাই শপিং মলের ভেতরে। বাঙালি মুসলমানের বড় আনন্দ উৎসব ঈদুল ফিতর প্রায় দোরগোড়ায়। সাধ্যের তফাত থাকলেও এই উৎসব উদযাপনে উৎসাহের অভাব বা কার্পণ্য থাকে না কারো। দীর্ঘদিন ধরে চলে প্রস্তুতি।
শহর-নগর ছেড়ে গ্রামে ফিরে সবাই মিলে উদযাপনের চেষ্টা থাকে। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশের পোশাকের ফ্যাশনের নতুন ধারাও ঠিক হয় বলা যায়। বার্ষিক ব্যবসার বড় মৌসুমটা যে এ সময়ই। এবারও মৌসুম আর উৎসবের মেজাজ মাথায় রেখে পোশাকের নকশা করেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। এবার ঈদ আর নববর্ষ আসছে হাত ধরাধরি করে। ঈদুল ফিতরের উচ্ছ্বাস ফিকে হতে না হতেই পহেলা বৈশাখ আসবে সাড়ম্বরে। মাত্র দু-তিন দিনের ব্যবধানে দুটি বৃহৎ উৎসব হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে পোশাকের কাপড়ে ও নকশায়। ক্রেতারাও পোশাক কিনতে গিয়ে বিষয়টি বেশ মাথায় রাখছে। গরমকালের ঈদের পোশাকে স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্ব পাচ্ছে আরামের বিষয়টি। বরাবরের মতোই উজ্জ্বল রং প্রাধান্য পেলেও সমান্তরালে হালকা রঙের একটি ধারাও তৈরি হয়েছে। এর বাইরে কিছুটা ঢোলা পোশাকের ধারা দেখা যাচ্ছে এবার। মেয়েদের কামিজের ঝুল ও ঘের বেড়েছে অনেকটাই। বসুন্ধরা শপিং মলের লেভেল টুতে ইল্লিয়িন, এমব্রেলা, ইক্সটাসি, লুবনান, ইনফিনিটি, দর্জিবাড়ি, ক্যাটস আই এবং লেভেল থ্রিতে ইজি ও জেন্টলপার্কে পাঞ্জাবি বেচাকেনার ধুম দেখা গেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। জেন্টলপার্ক এবার ছেলেদের জন্য এনেছে কাবলি পাঞ্জাবি। কয়েক বছর ধরে পাঞ্জাবির এই ধরনটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে নতুন করে। ফ্যাশন হাউস এমব্রেলার শাখা ব্যবস্থাপক জানালেন, তাঁদের পাঞ্জাবি-থ্রিপিসসহ অন্যান্য পোশাকে এবার ঈদের সঙ্গে বৈশাখের নকশা ও রঙের ছোঁয়া রয়েছে। রয়েছে কৃষ্ণচূড়ার রং ও নকশার ছটা। অনায়াসে একটি পোশাক দিয়ে দুটি উৎসব কাটিয়ে দেওয়া যাবে। এবার নারী-পুরুষের বেশির ভাগের পোশাকেই রয়েছে গ্রীষ্মের রং। সুতি, লিলেন, সিল্ক ও ভিসকসের কাপড়ে আছে রঙের উজ্জ্বল উপস্থিতি। তাতে রয়েছে ব্লক, প্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ। ফ্যাশন হাউস লা রিভের পোশাকে প্রাধান্য সতেজ সবুজ ও গাঢ় বাদামি রঙের। বসুন্ধরা শপিং মলের দেশীদশে উজ্জ্বল ও হালকা দুই রকম রঙের পোশাকই দেখা গেল। গরমের কারণে সুতি ও পাতলা কাপড়ের জমকালো পোশাক মেয়েদের বেশি আকৃষ্ট করছে বলে জানিয়েছেন এখানকার কয়েকজন বিক্রেতা।