মশলা কিনতেই মধ্যবিত্তের ‘পকেটের কোরবানি’ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক ঈদুল আজহা ঘিরে দাম বেড়েছে প্রায় সব মশলার। মধ্যম আয়ের মানুষেরা মশলা কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন। বাজেটে ভোগ্য পণ্য আমদানিতে উৎস কর ১ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হলেও ভোগ্য পণ্য, বিশেষত মসলার দাম উল্টো বাড়ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, আদা, এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, দারচিনি, গোলমরিচসহ প্রায় সব ধরনের মসলাপণ্যের দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তিন-চার মাস আগে থেকেই মসলা আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। এতে বর্তমানে বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এর পরও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ঈদের এক মাস আগে থেকে বাড়তে শুরু করেছে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। ব্যবসায়ীদের মতে, ডলারের দর বেড়ে যাওয়া, এলসি খুলতে অনীহা ও সরবরাহ ঘাটতির কারণে কোরবানির আগেই অস্থির মসলার বাজার। তবে ভোক্তারা বলছেন, সরকার দাম বাড়ালে মিনিটের মধ্যে কার্যকর হয়। আর দাম কমালে দিনের পর দিন তা কার্যকর হয় না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে মসলা আমদানি হয়েছে প্রায় তিন হাজার ৮৫২ কোটি টাকার। এর আগের (২০২২-২৩) অর্থবছরে আমদানি হয় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার। অর্থাৎ চলতি বছর এরই মধ্যে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার বেশি মসলা আমদানি হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক মাস আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করা হয় ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এক মাস আগে এলাচ বিক্রি করা হয় তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৮০০ টাকায়, দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ২০০ থেকে চার হাজার ২০০ টাকায়। এক মাস আগে দারচিনি বিক্রি করা হয়েছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৮০ টাকায়। ঈদকে ঘিরে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি করা হচ্ছে এক হাজার ৬৮০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়।টিসিবির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ দাম বেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৪০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। আমদানি করা আদা বিক্রি করা হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়, এক মাস আগে ছিল ২১০ থেকে ২৫০ টাকা। বাড্ডার সোহেল স্টোরের ব্যবসায়ী মো. সোহেল মিয়া বলেন, ‘এ বছর সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচের। এক বছরের ব্যবধানে এলাচ কেজিতে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। চলতি বছর জিরার দাম কম থাকলেও ঈদের এক মাস আগে পাইকারিতে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’ খাতুনগঞ্জে মসলা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাজেটে শুল্ক বা কর কমালে সেটার সুফল পেতে সময় লাগবে। এখন যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তা অন্তত এক মাস আগে আমদানি করা।’ বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অমর কান্তি দাশ বলেন, ‘রপ্তানিকারক দেশে মসলার দাম বাড়লে আমাদের দেশেও সমান হারে বেড়ে যায়। এখন ডলারের মূল্য বাড়ার কারণে অনেক আমদানিকারক আমদানি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এর প্রভাব পড়ছে বাজারে।’ SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: ঈদুল আজহা
ঈদুল আজহা ঘিরে দাম বেড়েছে প্রায় সব মশলার। মধ্যম আয়ের মানুষেরা মশলা কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন। বাজেটে ভোগ্য পণ্য আমদানিতে উৎস কর ১ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হলেও ভোগ্য পণ্য, বিশেষত মসলার দাম উল্টো বাড়ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, আদা, এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, দারচিনি, গোলমরিচসহ প্রায় সব ধরনের মসলাপণ্যের দাম বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তিন-চার মাস আগে থেকেই মসলা আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। এতে বর্তমানে বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এর পরও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ঈদের এক মাস আগে থেকে বাড়তে শুরু করেছে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। ব্যবসায়ীদের মতে, ডলারের দর বেড়ে যাওয়া, এলসি খুলতে অনীহা ও সরবরাহ ঘাটতির কারণে কোরবানির আগেই অস্থির মসলার বাজার।
তবে ভোক্তারা বলছেন, সরকার দাম বাড়ালে মিনিটের মধ্যে কার্যকর হয়। আর দাম কমালে দিনের পর দিন তা কার্যকর হয় না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে মসলা আমদানি হয়েছে প্রায় তিন হাজার ৮৫২ কোটি টাকার। এর আগের (২০২২-২৩) অর্থবছরে আমদানি হয় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার।
অর্থাৎ চলতি বছর এরই মধ্যে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার বেশি মসলা আমদানি হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক মাস আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করা হয় ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এক মাস আগে এলাচ বিক্রি করা হয় তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৮০০ টাকায়, দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ২০০ থেকে চার হাজার ২০০ টাকায়। এক মাস আগে দারচিনি বিক্রি করা হয়েছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৮০ টাকায়।
ঈদকে ঘিরে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি করা হচ্ছে এক হাজার ৬৮০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়।টিসিবির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ দাম বেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৪০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। আমদানি করা আদা বিক্রি করা হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়, এক মাস আগে ছিল ২১০ থেকে ২৫০ টাকা। বাড্ডার সোহেল স্টোরের ব্যবসায়ী মো. সোহেল মিয়া বলেন, ‘এ বছর সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচের। এক বছরের ব্যবধানে এলাচ কেজিতে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। চলতি বছর জিরার দাম কম থাকলেও ঈদের এক মাস আগে পাইকারিতে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’ খাতুনগঞ্জে মসলা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাজেটে শুল্ক বা কর কমালে সেটার সুফল পেতে সময় লাগবে। এখন যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তা অন্তত এক মাস আগে আমদানি করা।’ বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অমর কান্তি দাশ বলেন, ‘রপ্তানিকারক দেশে মসলার দাম বাড়লে আমাদের দেশেও সমান হারে বেড়ে যায়। এখন ডলারের মূল্য বাড়ার কারণে অনেক আমদানিকারক আমদানি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এর প্রভাব পড়ছে বাজারে।’