উপহার এবং দানের ওপরও বসছে কর

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপহার ও দানকে আয় হিসেবে ধরা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। ফলে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান ও আপন ভাই-বোন ছাড়া যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উপহার বা দান হিসেবে পাওয়া সম্পদের ওপর আয়কর দিতে হবে। পাশাপাশি হেবা দলিলের ওপর আয়কর বসানো হয়েছে। ধরা যাক, একজন ব্যক্তি তার বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজন ও অফিসের সহকর্মীদের দাওয়াত দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছ থেকে উপঢৌকন হিসেবে একটি ফ্রিজ, একটি মাইক্রোওভেন ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার পেলেন। আগামী অর্থবছর থেকে আয়কর রিটার্নে ওই সব উপহারকে আয় হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ক্ষেত্রে ২ ভরি স্বর্ণ ও ফ্রিজ-ওভেনের বাজারমূল্য রিটার্নে দেখাতে হবে এবং সে অনুযায়ী আয়কর দিতে হবে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো আর্থিক বছরে করা ২০ হাজার টাকা মূল্যের দানের ওপর কোনো দানকর ধার্য হবে না।

প্রস্তাবিত আইনে শুধু দানকারীই এই কর থেকে অব্যাহতি পাবেন। তবে দান গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কর দিতে হবে। তবে পুত্র-কন্যা, মা-বাবা এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দান করা হলে এসব উপহারের কোনো কর দিতে হবে না। এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এত দিন দানকরের অনেক অপব্যবহার হয়েছে।
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় দানের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করা হতো। বর্তমানে যিনি দান করছেন, শুধু তাঁকেই কর দিতে হয়। তবে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, যিনি দান গ্রহণ করবেন, তাঁকেও কর দিতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে স্থাবর সম্পত্তি যেমন জমি-প্লট বা ফ্ল্যাট দান বা হেবা দলিলের ওপর উৎসে কর আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে আপন ভাই-বোন, মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, দাদা-দাদি, নানা-নানি ও নাতি-নাতনির সম্পর্কের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তরে কর পরিশোধ ছাড়া হেবা দলিল করা যায়।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ বেচাকেনার মতো সম্পত্তি হস্তান্তরের সময় এলাকা, জমির শ্রেণি অনুযায়ী হস্তান্তরকারীকে নির্দিষ্ট হারে আয়কর দিতে হবে। বর্তমানে হেবা দলিলে দুই হাজার ৫১০ টাকা কর দিতে হয়।