ঈদের ছুটিতে ব্যস্ত ঢাকা এখন ফাঁকা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৪ ঈদের ছুটিতে পুরোপুরি পাল্টে গেছে রাজধানী ঢাকার চিরচেনা সেই দৃশ্য। শহরের সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। রাস্তায় গণপরিবহন সংকট। নেই যানজট। সড়ক মহাসড়কগুলো দখলে নিয়েছে রিকশা। মাঝে কোরবানির গরু নিয়ে সাই সাই করে ছুটছে ছোট ছোট পিকআপ। এ যেন অন্যরকম দৃশ্য। নেই জ্যামে বসে বিরক্তির কোন চিহ্ন। যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাননি, তারা মহা খুশি। পরিবার পরিজন নিয়ে শেষ সময়ে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছেন কেউ কেউ। ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় আরামে চলতে পেরে খুশি নগরবাসী। ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও যানজটের খবর আসলেও এবছর মহাসড়কে তেমন যানজট হয়নি। দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে সোমবার (১৭ জুন)। এবছর ঈদের ছুটির আগে শুক্র ও শনি সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিস কিংবা অন্য কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অনেকে ঢাকা ছাড়ছেন শনিবার। এদিকে শনিবার রাজধানীর ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কম দেখা গেছে। যানজটের নগরী প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে মতিঝিল, পল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, বাংলামোটর, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, মিরপুর রোড, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, বিজয়সরণি ও মহাখালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে সদরঘাট যাবেন বরিশালের ইয়াহিয়া। অনেক সময় অপেক্ষা করেও বাস পাননি তিনি। অবশেষে সিএনজি অটোরিকশায় কয়েকগুণ বেশি খরচে রওনা দেন। তিনি বলেন, ‘লঞ্চে বরিশাল যাব। তাই সদরঘাট যাচ্ছি। বাস না পেয়ে বাধ্য হয়েই সিএনজি অটোরিকশায় উঠলাম। কি আর করা। যেতেতো হবে। খরচ বেশি হলেও কিছু করার নেই। বাসতো পেলাম না। তবে রাস্তা ফাঁকা। দ্রুত আরামে যাওয়া যাবে। যানজটের ভোগান্তি নেই।’ নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। তিনি বলেন, গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানী শহর ঢাকায় বেড়েছে চুরির শঙ্কা। চুরি ঠেকাতে ফাঁকা হওয়া বাসাবাড়ি, শপিং মল আর দোকানপাটে নজরদারি বাড়িয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এবং সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি। SHARES জাতীয় বিষয়: #ঈদের ছুটি
ঈদের ছুটিতে পুরোপুরি পাল্টে গেছে রাজধানী ঢাকার চিরচেনা সেই দৃশ্য। শহরের সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। রাস্তায় গণপরিবহন সংকট। নেই যানজট।
সড়ক মহাসড়কগুলো দখলে নিয়েছে রিকশা। মাঝে কোরবানির গরু নিয়ে সাই সাই করে ছুটছে ছোট ছোট পিকআপ। এ যেন অন্যরকম দৃশ্য। নেই জ্যামে বসে বিরক্তির কোন চিহ্ন।
যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাননি, তারা মহা খুশি। পরিবার পরিজন নিয়ে শেষ সময়ে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছেন কেউ কেউ। ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় আরামে চলতে পেরে খুশি নগরবাসী। ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ।
ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও যানজটের খবর আসলেও এবছর মহাসড়কে তেমন যানজট হয়নি। দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে সোমবার (১৭ জুন)। এবছর ঈদের ছুটির আগে শুক্র ও শনি সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিস কিংবা অন্য কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অনেকে ঢাকা ছাড়ছেন শনিবার। এদিকে শনিবার রাজধানীর ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কম দেখা গেছে।
যানজটের নগরী প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে মতিঝিল, পল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, বাংলামোটর, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, মিরপুর রোড, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, বিজয়সরণি ও মহাখালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে সদরঘাট যাবেন বরিশালের ইয়াহিয়া। অনেক সময় অপেক্ষা করেও বাস পাননি তিনি। অবশেষে সিএনজি অটোরিকশায় কয়েকগুণ বেশি খরচে রওনা দেন। তিনি বলেন, ‘লঞ্চে বরিশাল যাব। তাই সদরঘাট যাচ্ছি। বাস না পেয়ে বাধ্য হয়েই সিএনজি অটোরিকশায় উঠলাম। কি আর করা। যেতেতো হবে। খরচ বেশি হলেও কিছু করার নেই। বাসতো পেলাম না। তবে রাস্তা ফাঁকা। দ্রুত আরামে যাওয়া যাবে। যানজটের ভোগান্তি নেই।’ নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। তিনি বলেন, গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানী শহর ঢাকায় বেড়েছে চুরির শঙ্কা। চুরি ঠেকাতে ফাঁকা হওয়া বাসাবাড়ি, শপিং মল আর দোকানপাটে নজরদারি বাড়িয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এবং সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি।