কারো বাড়িতে ঈদ, কারো বাড়ি ফেরার তাড়া

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৪
মহান আত্মত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিজেকে উৎসর্গ করার মহিমায় উদ্ভাসিত মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা আগামীকাল সোমবার। ঈদের এই আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাদের কেউ যাচ্ছে সড়কে, কেউ লঞ্চে আবার কেউ বা যাচ্ছে ট্রেনে।এদিকে বাড়ি ফেরা মানুষের অনেকেই এখনো রাস্তায় রয়েছে।

যানজট ঠেলে বাড়ি ফিরতে মরিয়া মানুষ। এর মধ্যে দেশে বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। সৌদ আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রবিবার সকালে ঈদের জামাত আদায় শেষে পশু কোরবানিসহ ঈদের আনুষ্ঠানিকতা পালন করছে তারা। 
জানা গেছে, চাঁদপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ ও দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরাসহ বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন স্থানে রবিবার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ এবং আলফাডাঙ্গার সদর ইউনিয়নের ধলেরচর গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করছে।

এ ছাড়া বরিশাল নগরীসহ জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার সৌ‌দি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে রবিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঈদের জামায়াত অনু‌ষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পশু কোরবানি দেন।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় দুটি ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মুসল্লিরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। দুটি জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা। রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়ের বাড়ির মির্জাপুর মসজিদ এবং একই সময় আয়ড়া মোড় জামে মসজিদে জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়।

খয়ের বাড়ি মসজিদে ইমামতি করেন দেলোয়ার হোসেন এবং আয়ড়া মোড় জামে মসজিদে ইলিয়াস হোসেন জামাতে নামাজ আদায় করেন।

 

ঝিনাইদহের কয়েকটি গ্রামের মানুষও ঈদ উদযাপন করছেন। রবিবার (১৬ জুন) সকাল ৮টায় জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ কয়েকটি এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে দেড় শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।

এ ছাড়া চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ রবিবার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন। ঈদের দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করেন আবু ইয়াহিয়া জাকারিয়া মাদানী।