* বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সংগ্রহ সাড়ে ৩ লাখ * ছোট-বড় প্রতি চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০০-৪০০ টাকা

মানা হয়নি নির্ধারিত দর, অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে চামড়া

প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৪
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউসিয়া কমিটি ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতি মিলিয়ে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে চার লাখ পিস। এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে কাঁচা চামড়া সংগ্রহে। তবে চামড়ার দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা তুষ্টির কথা জানালেও অসন্তোষ জানিয়েছেন কোরবানিদাতা ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, অনেকটা বাধ্য হয়েই আড়তদারদের চাওয়া দামে চামড়া বিক্রি করেছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা-পরবর্তী চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারি ছিল, সেখানে এখন আছে মাত্র একটি। সংগৃহীত সাড়ে চার লাখ চামড়ার মাত্র এক লাখ কেনে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি চামড়া ঢাকায় পাঠিয়ে পরের বছর পর্যন্ত টাকা পাওয়ার আশায় থাকেন এখানকার ব্যবসীয়ারা।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন চামড়ার আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাকে ট্রাকে চামড়া আসছে নগরীর মুরাদপুরের আতুড়ার ডিপোর বিভিন্ন চামড়ার আড়তে।

এই আড়তগুলোতে চট্টগ্রামে জবাই করা কোরবানির গরু-ছাগলের ৮০ শতাংশ কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করা হয়। 

সরকার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও আড়তে চামড়া বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা বর্গফুট দামে। এর চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি নন আড়তদাররা। আড়তে উপযুক্ত দাম না থাকায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌসুমি চামড়া ক্রেতারাও কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে চামড়া কিনেছেন।

চট্টগ্রামে এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া কিনেছেন মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। 

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কোরবানিদাতা মো. সুলতান আহম্মেদ বলেন, ‘এ বছর আমরা চার ভাই মিলে কোরবানির জন্য এক লাখ ৬৩ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। কিন্তু চামড়ার দাম উঠেছে মাত্র ৩০০ টাকা। চামড়ার ক্রেতা এর বেশি দাম দিতে চান না। ফলে চামড়াটা মাদরাসায় দান করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর চামড়ার টাকা এতিম শিশুদের জন্য দিয়ে দেওয়া হতো। এবার আর টাকা দেওয়া হয়নি। সরাসরি চামড়া দিয়ে দিয়েছি।’

 বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দীন  বলেন, এখন চামড়ার দাম কম পাওয়ায় অনেকেই চামড়া বিক্রি করা কমিয়ে দিয়েছেন। বেশির ভাগই দান করে দেন। এর একটা প্রভাব ব্যবসার ওপরে পড়েছে। একসময় আতুড়ার ডিপোতে ৩৫০ জন আড়তদার থাকলেও এখন আছেন ১২০ জন।

তিনি বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রা অনুপাতে চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। এবার গত বছরের তুলনায় পাঁচ হাজার পিস বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত বছর তিন লাখ ৪৫ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম।’