সরকারের সংলাপ প্রস্তাবে যা বলছেন বৈষম্যবিরোধীরা

প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের  সঙ্গে সরকার বসতে চায় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে আজই বসতে চান তারা।

তবে সরকারের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘রক্ত মাড়িয়ে কোনো সংলাপ নয়।’

 

বৈষম্যবিরোধীরা বলছেন, আলোচনা তো আগেও হতে পারত। আলোচনা আর গোলাগুলি একসঙ্গে হয় না। লাশের ওপর দিয়ে তো আলোচনায় যাওয়া যায় না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা কিছু দাবি জানাব।

সেই দাবিগুলো পূরণ সাপেক্ষে আলোচনা হতে পারে। সেই দাবিগুলোর বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে লিখে আমরা লিখিত আকারে জানাব, যাতে করে ভুলভাবে আমাদের দাবি উত্থাপিত না হয়।’ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, ‘গুলির সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না।

এই রক্তের সঙ্গে বেইমানি করার থেকে আমার মৃত্যু শ্রেয়!’ 

উমামা ফাতেমা নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আন্দোলনকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি উমামা ফাতেমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২৩ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটির একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। একটু আগে দেখলাম কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার আলোচনায় বসার কথা বলছে। ১২টা লাশের ওপর দাঁড়ায়ে কিসের আলোচনা? খুনিদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। খুনিদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না।’

আজকের সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষে আছে। 

একই সঙ্গে কোটা সংস্কারের মামলার শুনানি এগিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী জানান, ‘এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অ্যার্টনি জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

 

এদিকে কোটা সংস্কারসহ কয়েকটি ইস্যুতে আজ সারা দেশে ‘কমপিলিট শাটডাউন’ পালক করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।