অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে সমন্বয়কদের যত নির্দেশনা

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৪

রবিবার থেকে দেশব্যাপী ‘সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন’র ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলন সফল করতে ছাত্র-জনতার প্রতি একগুচ্ছ জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে তারা।

শনিবার (৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।

একইসঙ্গে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান’ লিখে নাহিদ ইসলাম, মো মাহিনসহ একাধিক সমম্বয়ককে ফেসবুকে পোস্ট করতে দেখা গেছে।

 

নির্দেশনা গুলো হলো-

১। কেউ কোনো ধরণের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।

২। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরণের বিল পরিশোধ করবেন না।

৩। সব ধরণের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।

৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

৫। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরণের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।

৬। সব ধরণের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।

৭। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না। কোনো ধরণের পণ্য খালাস করবেন না।

৮। দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাইবোনেরা কাজে যাবেন না।

৯। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।

১০। জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবার ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।

১১। পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরণের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।

১২। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।

১৩। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।

১৪। আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না। ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।

১৫। বিলাসদ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপনী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন- ওষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে।

এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।