হত্যা মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে এক হকারের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার সন্ধ্যার পর তাঁদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে কড়া নিরাপত্তায় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আদালতে হাজির করা হয়।

এ সময় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিচার চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল করেন। আদালতে সেনা ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। তাঁদের একজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সবুজ আলী (২৬) এবং অন্যজন হকার মো. শাহজাহান (২৬)। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শাহজাহান হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন। কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন বলে খবর এসেছে। এর মধ্যে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরে তাঁদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন আইনজীবী আনিসুল হক। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া ও কসবা) আসন থেকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনা তাঁকে আইনমন্ত্রী নিয়োগ দেন। সেই থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুটি বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার পর সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অনেকটা নিষ্ক্রিয় করে সামনে আনা হয় আনিসুল হক ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে।

২০ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সহসমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের কাছে দাবি তুলে ধরেন।