জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে ও জন্মনিবন্ধন করা যাবে

প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কোনো কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর তাঁদের কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন–সংক্রান্ত সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় নিবন্ধন সেবা অব্যাহত রাখতে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গতকাল বুধবার অফিস আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. হাবিবুর রহমানের সই করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পরিবর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজ বিবেচনায় উপজেলা পর্যায়ের প্রয়োজনীয় সংখ্যক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের নিবন্ধকের দায়িত্ব দেবেন। ওই কর্মকর্তাদের নিবন্ধনকাজের জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেবেন ইউএনও।

অপর দিকে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পৌরসভার মেয়রদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট জেলার উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তাকে নিবন্ধকের দায়িত্ব দেবেন। একইভাবে সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের পরিবর্তে জেলার উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) সরকারি কর্মকর্তাদের নিবন্ধকের দায়িত্ব দেবেন। পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ওই কর্মকর্তারা নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করবেন বলে অফিস আদেশে বলা হয়েছে।

জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে নতুন অফিস আদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, তাঁর উপজেলায় অননুমোদিতভাবে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত নেই। তাঁর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান বিদেশে এবং দুজন চেয়ারম্যান ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গেছেন। বাকি ৯ জন এলাকায় আছেন। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এলাকাবাসী। সেখানে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের জন্য কেউ আবেদন করেননি। কারও জরুরি প্রয়োজন হলে ইউএনও হিসেবে তিনি জন্ম বা মৃত্যুনিবন্ধন সনদ দিয়ে দেবেন।