মতানৈক্য দূরে সরিয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে ইসলামী দলগুলো :

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি:

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত প্রায় ১৬ বছর ধরে ঘরে বাইরে চরম বেকায়দায়ে ছিল বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম, খেলাফতে মজলিস সহ সব কটি ইসলামী দল। এর মধ্যে জামাতের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করা সহ প্রকাশ্য শোভা সমাবেশ পর্যন্ত তারা করতে পারেনি। এছাড়া দলের আমির সহ শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড সহ দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতনের মাত্রা ছিল ভয়াবহ। কিন্তু ৫ ই আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে অন্যান্য ইসলামী দল ও জামাতে ইসলামী এর উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে।এরই ধারাবাহিকতায় জনগণের স্বার্থে সচলায়তন জামাতের উদ্যোগে সব ইসলামী দলকে এক ছাতার নিচে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ইসলামপন্থী দলগুলো হলো : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, জামাতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ,, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম। কিন্তু ধর্মভিত্তিক এসব দল এতদিন যার যার মত করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। একদলের সাথে রয়েছে অন্য দলের নানা মতঐক্য। কিন্তু সব মতাঐক্য দূরে সরিয়ে এখন তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাথে জামাতের মত ঐক্য প্রকাশ্যে দেখা গেলেও দেশের স্বার্থে তারা এক কাতারে আসতে রাজি হয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যে একসাথে কাজ করতে অন্যান্য দলগুলো একমত আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এতে নেতৃত্বে থাকছে সবচেয়ে বড় ইসলামিক দল জামাতে ইসলামী। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দল এবং সংগঠনের সাথে নানা ভাবে আলোচনা শুরু করেছে দলটি। মূলত গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ার দিন আলোচনায় আসেন জামাতে ইসলামের আমির ডা: শফিকুর রহমান। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান জামাতের আমিরের কথা বলতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আসে দলটি। এরপর অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র সংস্কারের সকল কাজে সামনের সারিতে দেখা যায় দলটিকে। শুধু তাই নয় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ অন্যান্য ধর্মের লোকজনের সাথে বৈঠক করে তাদের খোঁজ খবর রাখছেন।এছাড়া আন্দোলনে নিহিত আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে অর্থ সহযোগিতা করছেন দলটির আমির সহ শীর্ষ নেতারা। চলমান বন্যার্থদের নানান ভাবে সহায়তা করছে দলটি। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষসহ যেসব দল এতদিন তাদের অপছন্দ করতো তাদেরও আস্থায় ফিরেছে ধর্মভিত্তিক এ দলটি।
এদিকে ইসলামী দলগুলোকে এক কাতারে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে জামায়াত।এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ আগস্ট থেকে ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দলটি। সেদিন হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সাথে মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন দলের আমির ডা: শফিকুর রহমান।