প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৪

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ০১/১১/২০২৪ খ্রি. তারিখ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের নাঃগঞ্জ পত্রিকার ১ম পাতায় “ডিসি অফিসে উদ্ধারকৃত কার্টুনভর্তি ৪২ লাখ টাকা ছিল রানার। টিটুর দোসর ভূমিদস্যু রানা সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনার দাবী” এবং ০৩/১১/২০২৪ খ্রি. তারিখ রবিবার দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার ১ম পাতায় “ডিসি অফিসে ৪২ লাখ টাকা উদ্ধার মামলায় রানাকে গ্রেফতার দাবী: গডফাদারের শ্যালকের পার্টনার পরিচয়ে ভূমিদস্যুতায় বেপরোয়া ছিল রানা” শিরোনামে আমার ছবি সম্বলিত প্রকাশিত সংবাদগুলো আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট, কল্পনাপ্রসূত, মানহানীকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকাশিত ওই সংবাদের মধ্যে সামান্যতম সত্যও নেই। আমি উক্ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, মানহানীকর, কল্পনাপ্রসুত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমি এস এম রানা ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড এর নির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথেই অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি এবং মাদার প্রিন্ট নামক একটি স্বনামধন্য মুদ্রনশিল্প প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। আমি একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা ও সামাজিক কর্মকান্ডে দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্বের সাবেক আউট সোর্সিং কর্মচারি জাহিদুল ইসলাম সুমন এর নিকট হতে ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টুন উদ্ধার কান্ডে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার কাউসার গ্রেপ্তারের খবর আমি সংবাদপত্র ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি। প্রকৃত অর্থে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম সুমন ও গ্রেপ্তারকৃত সার্ভেয়ার কাউসার এর সাথে আমার নূন্যতম সম্পর্ক নেই। ডিসি অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ৪২ লাখ টাকা আমার বলে উক্ত সংবাদে লিখা হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও দুদকের তদন্তে আমার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি ঘুষের ৪২ লাখ টাকা উদ্ধারকান্ডে দায়েরকৃত মামলাতেও আমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। একজন ব্যবসায়ী, ক্রিড়া সংগঠক ও সমাজ সেবক হিসেবে আমি ভূমিদস্যুতার মতো ঘৃণিত কর্মকান্ডে কখনোই জড়িত ছিলাম না। অথচ আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন ভথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদগুলোতে নাম পরিচয়হীন সূত্রে জেলার পঞ্চবটি মুক্তারপুর ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে কারসাজিসহ ভূমি মালিকদের নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, চরকিশোরগঞ্জের বালুমহাল ইজারায় সম্পৃক্ততা, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পঞ্চবটি লিংক রোডের পাশে জমি দখলের অভিযোগ, সাইনবোর্ড এলাকায় ভুয়া দলিল তৈরীর মাধ্যমে ভারটেক্স গ্রুপের ৪০ শতাংশ জায়গার মালিকানা দাবী, মিল্টন ইকবাল বুলবুল নামে কথিত দালাল চক্রের সদস্যদের সহায়তায় কাজ করা, সদর উপজেলার গোগনগর কাশিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা জুড়ে তুমিদস্যুতায় বেপরোয়া, তানভীর আহাম্মেদ টিটুকে পার্টনার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম সাধন এবং ভূমিদস্যুতা করে অন্যের জমি আত্মসাৎসহ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মানহানীকর ও কল্পনাপ্রসূত খবর প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়।

এছাড়াও দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা বিভিন্ন সময়ে আমাকে জড়িয়ে এমন মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানীকর সংবাদ ঢালাওভাবে প্রকাশ ও প্রচার করেছে। প্রতিবেদনগুলোতে প্রকাশিত ও প্রচারিত কাল্পনিক অভিযোগগুলোর বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে কোনও থানা বা আইন প্রয়োগকারী অন্যকোনও সংস্থায় কোনও প্রকার অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরী পর্যন্ত নেই। সামাজিকভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে স্থানীয় একটি কুচক্রিমহল এবং কথিত কতিপয় সাংবাদিক হলুদ সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে আমাকে জোরপূর্বক অপরাধী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার নামে মিথ্যা, অপপ্রচার বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন প্রচার করা হলেও আমার সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডের কোনও বিবরণ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। অথচ দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকায় নাম পরিচয়হীন সূত্রের উদ্ধৃতিতে একতরফা ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে সম্পূর্ণ অসত্য, ভুয়া, বানোয়াট, মানহানীকর ও কল্পনাপ্রসূত সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে।

অতএব জনাব, হলুদ সাংবাদিকতাকে নিরুৎসাহিতকরণ, জনসাধারণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা নিরসন এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার উল্লেখিত খবরে যে বানোয়াট ও অসত্য বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে- উক্ত বিষয়ে আমার প্রতিবাদ যথাযোগ্য গুরুত্বের সাথে আপনার স্বনামধন্য দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ ও প্রচার করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।