সাধক মেহেদী’র জিন নামানো ও কুফরী কালামের রমরমা ব্যবসা!!!

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৪

 

জিল্লুর খান (বিশেষ প্রতিনিধি)।
ক্রাইম পেট্রোল ইনভেস্টিগেশন।

বর্তমান আধুনিক পৃথিবীতে কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসের বসবরতি হয়ে এখনো মানুষ বিভিন্ন সাধক বেশি প্রতারকের আস্থানায়।আর প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হন সাধক অথবা সাধুর চতুর কথাবার্তার মাধ্যমে। সর্বস্ব দিয়ে দিতেও কোনো আপত্তি থাকেনা মানুষের। প্রায় এসব প্রতারক সাধুদের প্রশাসনের কাছে ধরা পড়তে দেখা যায়। কিন্তু রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন রাজারবাগ কালীমন্দির এলাকায় সাধক মেহেদী নামে একজন সাধুর সন্ধান পাওয়া যায়। তথ্য মোতাবেক এই সাধকের নাম মোঃ হোসেন।মুসলমান ধর্ম অনুসারী এই হোসেন দীর্ঘ ২৫ থেকে ২৬ বছর ধরে কালীবাড়ি এলাকায় বসে কালো জাদু, জিন নামানোর নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব এ সাধক মেহেদী নামের একটি পেজ সামনে আসলে ক্রাইম পেট্রোল ইনভেস্টিগেশন টিম বিষয়টির পূর্ণ তদন্তে নামে এবং বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে। এই সাধক মেহেদী মুসলমান ধর্ম অবলম্বী হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র লোক ঠকিয়ে অর্থ কামানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করে থাকে। জানা যায় তিনি সত্য সুন্দর ও মঙ্গলময় নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ওয়ার্ল্ড মিডিয়া ক্লাবের সদস্য। ইউটিউবে তার পেজটি বিবেচনা করে দেখা যায় তাতে তিনি বিভিন্ন বিভ্রান্ত মুলক সংগীত এবং কথাবার্তা বলে থাকেন। মেহেদী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী নামে একটি দল আছে তার। সাধক মেহেদির দাবি তিনি মোটামুটি মানব জগতের সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তার মত অনুসারে তিনি আধ্যাত্মিক শক্তির বলে জিন এবং দেব দেবীর আশীর্বাদে মানুষের সকল সমস্যার সমাধান করে থাকেন। জিন নামানোর নামে এই প্রতারক সাধক মেহেদীর সঙ্গী হলো এলাকার এক কসাই এর স্ত্রী। তার আস্তানায় গিয়ে পুরো ঘরে হিন্দুদের বিভিন্ন দেবদেবীর ছবিসহ কুফরী কালাম করার বিভিন্ন সরঞ্জামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি নানারকম পাথর বিক্রি করেন। দীর্ঘ ২৬ বছর প্রতারণা করে তিনি গরেছেন বাড়ি, গাড়ি, দোকানসহ সম্পদের পাহাড়। জানা যায় স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দোসর এই মোঃ হোসেন সাধক মেহেদী বিএনপি জামাত বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। তার ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে দোয়া/পূজা করে ডেগ ভরে খিচুড়ি বিতরণের ঘটনা তদন্ত তথ্যে উঠে আসে। ভন্ড সাধক মেহেদী দীর্ঘ ২ যুগ যাবৎ পৃথিবীতে নিষিদ্ধ এবং ঘ্রিন্য এই কুফরী কালামের মাধ্যমে জনগণের ক্ষতি করে আসছে। সমাজের সুশীল সমাজ করেন “এ ধরনের মানুষ সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর একটি বিষয়। যার সঠিক তদন্ত করে সমাজের এ ধরনের সমস্যা কিভাবে পুরোপুরি বিলুপ্ত করা যায় তা ভেবে বের করতে হবে”।পাশাপাশি এসব ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে কেউ যেন এখন আজ তার নিশ্চিত করতে হবে।