পবিপ্রবি ভিসির ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিতর্কিত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মামুন হতে যাচ্ছেন রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য!!!

প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ক্রাইম পেট্রোল ইনভেস্টিগেশন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ বানিজ্যসহ বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভিসি ড. কাজী রফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাধে আগামী ১৮ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য মনোনয়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিতর্কিত অধ্যাপক মামুনের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানাযায়, আব্দুস ছালাম নামে এক ভুক্তভোগী বিতর্কিত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি চেয়ারমান, শিক্ষা সচিব ও পবিপ্রবির ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করার পরেও ভিসি তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। অনুসন্ধানে জানাযায়, পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ৩ জন স্থান পায় যাদের মনোনয়ন একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ভিসি ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়র যোগ্য শিক্ষকদের বাদ দিয়ে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অধ্যাপক মামুনকে আসন্ন একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ের মাধ্যমে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র শিক্ষক জানান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মামুন অর রশীদ পদাধিকারবলে রিজেন্ট বোর্ডে সদস্য সচিব থাকছেন সেখানে অন্য একজন শিক্ষকের সুযোগ নষ্ট করে তাকে একই সাথে সদস্য করা হবে দুঃখজনক। তাদের দাবি বিতর্কিত অধ্যাপক মামুনকে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য করার পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায় অধ্যাপক মামুনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ভিসি পদে যোগদানের পরে অধ্যাপক মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, ভিসি অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম তার সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু অধ্যাপক মামুনের উপর আস্থাশীল হওয়ায় মামুন সুযোগে সদ্ব্যবহার করে যাচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানাযায়, ভিসি ড. কাজী রফিকুল ইসলাম যোগদানের পরে ২০০৯ সাল থেকে ৫ ই আগস্ট, ২০২৪ পর্যন্ত সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে পবিপ্রবিতে তদন্ত কমিশন গঠিত হলে বিগত সময়ে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেসকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাথে রেজিস্ট্রার মামুনের সিন্ডিকেটের লেনদেনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান রেজিস্ট্রার মামুন ভিসির নাম ভাংঙিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপিড়নের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা রয়েছে সেখানে রেজিস্ট্রারের মত দায়িত্বশীল পদে একজন যৌন নিপিড়ক কিভাবে বহাল থাকেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা অনতিবিলম্বে এই বিতর্কিত রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি করছেন।
এ বিষয়ে ভিসি ড. কাজী রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।