পালিয়ে আসা দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আমিন এখন বিএনপির স্থানীয় নেতা

প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় জালিয়া পালং ইউনিয়ন দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আমিন নামে জনৈক ব্যক্তি।

মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে স্থানীয় জালিয়া পালং দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অফিসের ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে টাকার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেন তিনি। উক্ত জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে নেন। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ তৈয়ব গং।

কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী এলাকায় মেরিন ড্রাইভের সাথে বিভিন্ন সরকারি জায়গায় দোকান বসিয়ে ভাড়া দিয়ে থাকেন তিনি এবং বিএনপির নেতা পরিচয় চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় লোকজন থেকে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ক্ষোভ দেখাচ্ছে। জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়া ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী সে এখন বাংলাদেশের নাগরিক যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অবান্তর।

টাকা পয়সা লেনদেনের মাধ্যমে আমিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগসাজশে জাতীয় পরিচয় পত্র বাগিয়ে নেন এবং উখিয়াতেই বিয়ে করে এখন ঘর সংসার কি করছেন।

এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন কেটে দেয় এবং এই বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছুক বলে জানায়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সে মায়ানমারে থাকা অবস্থায় সেখানেও বিভিন্ন ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই এইসব ঘটনায় জড়িত ছিল এবং সে তার আগের মতো অপকর্ম এখনও ইনানি এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একব্যক্তি জানিয়েছেন, অন্যের জমি-জমা দখল করে ধান্দা বানিজ্য দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে দুর্ধর্ষ আমিন গং।

বনি আলম নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলো সন্ত্রাসী আমিন গং, বনি আলমের স্ত্রীকে ৩ রাউন্ড গুলি করে আহত করে। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। সরকার পতনের পরপরই এখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়ে দিয়েছে।

এই নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে স্থানীয় একব্যক্তি তার ভোটার আইডি কার্ড যাচাই বাছাই করার জন্য একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করবেন বলে জানা গেছে। ঐ ব্যক্তি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে কোনভাবেই জাতীয় পরিচয় দেয়া যাবে না, তারা জাতীয় পরিচয় পেলে আরাকান আর্মির সাথে আঁতাত করে পুরো টেকনাফ সহ কক্সবাজার দখল করে নেবে সেটি খুব বেশি দূরে নয়। তিনি এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী বলে মনে করেন।