সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছে ঃপ্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আনয়নের ফলে দেশে একটা স্থিতিশীলতা এসেছে, কারণ দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত আছে। এখন আর অনির্বাচিত কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারছে না।

তিনি বলেন, মার্শাল ল’ জারি করে ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন, যার ফলে আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে আমাদের সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে এসে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। এই গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের শক্তিকে আরও দৃঢ় করা এবং ক্ষমতায় কে যাবে না যাবে জনগণই যেন তা নির্ধারণ করতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হওয়ায় এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীর মনোকষ্টের কারণ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও সেটা দেশের তথাকথিত এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের অন্তর্জ্বালার কারণ। তারা কোনদিন ভোটের জিততে পারবে না আর রাজনীতি করতে পারবে না বা জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবার মতো সাহস যাদের নেই। কোনোমতে ক্ষমতায় কীভাবে যাবে তাই তারা সব সময় এই গণতান্ত্রিক ধারাটাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে। তাদের এই প্রচেষ্টা আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে একুশ বছর পর সরকারে এসে আওয়ামী লীগ ৫ বছর দেশ পরিচালনার পর শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আর যেটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র ঘটনা। এছাড়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, ইমার্জেন্সি বা ‘মার্শাল ল’ নানা ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই হয়নি।