জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম অগ্রগতির সুরক্ষা ও প্রচারে জনগণ এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোরালো সমর্থন। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২৩ বিশেষ প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয় তাদের ২০২২ সালের মূল প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বছরব্যাপী বাংলাদেশে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এ দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অগ্রগতির সুরক্ষা ও প্রচারে জনগণ এবং বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনাইটেড নেশন্স সাসটেইনেবল কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম বছরে এ দেশে পরিচালিত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে লাখ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) জাতিসংঘ বাংলাদেশ আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সহায়তার অগ্রগতির পাশাপাশি জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয় এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটে সাড়া প্রদানের জন্য এ দেশের প্রস্তুতি, জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এবং মানবিক সাড়া প্রদানকারী অংশীদাররা জোরদার সমর্থন করেছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের সময় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশ সত্ত্বেও জাতিসংঘ এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, নীতিমালা জোরদার করার পাশাপাশি বেশ কতগুলো ধারাবাহিক উদ্যোগ ও সেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে অগ্রসরমান সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতায় বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য সহায়তা, নিরাপদ, বৈধ ও নিয়মিত অভিবাসন, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্র জোরদার করার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য জাতিসংঘ এ দেশের জনগণ ও সরকারকে অগ্রসরমান সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের মে মাসে দেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চল আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে। যার ফলশ্রুতিতে ৭.২ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয় এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক ৭২২ মিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি। তাৎক্ষণিক জরুরি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আকস্মিক বন্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল (সিইআরএফ) দুর্যোগ কবলিত জেলাগুলোতে ঝুঁকিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার বরাদ্দ করে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সার্বিকভাবে ২০.৪৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের তহবিল গঠন করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত মানবিক সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে ওই বছরের শেষ নাগাদ যৌথ সহায়তা পরিকল্পনার (জেআরপি) আওতায় ৮৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলারের একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক আবেদনের ৫৯ শতাংশ তহবিল (৫২০.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার) সংগৃহীত হয়। ওই তহবিলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও মৌলিক সেবাগুলো সফলভাবে প্রদান করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের কাজের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়—যা তিনটি অধ্যায় নিয়ে গঠিত। প্রথম অধ্যায়ে দেশের মূল অগ্রগতি এবং আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬-এর আলোকে সরকার, সুশীল সমাজ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্জিত জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর কাজের ফলাফল পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি সরকারের সহযোগিতায় জলবায়ু-সম্পর্কিত দুর্যোগে জাতিসংঘের মানবিক সমর্থনের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটকেও তুলে ধরে। তৃতীয় অধ্যায়ে ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের অগ্রাধিকারগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। SHARES বিশেষ সংবাদ বিষয়: