ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা::: বাড়ী ও মন্দির ভাঙচুর!!!

প্রকাশিত: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৪

 

মো: জিল্লুর খান (বিশেষ প্রতিনিধি)
মো: সোহেল রানা (বার্তা সম্পাদক)

গত ১৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি তারিখ রাত ১০ঃ৩০ মিনিট নাগাদ দ:কেরানীগঞ্জ থানার অন্তরাধীন হোল্ডিং নাম্বার ৮৩, ১ নাম্বার ওয়ার্ড এর শুভাড্যা ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের মা দুর্গানিকেতন” নামের একটি বাড়ি এবং বাড়ির সংলগ্ন মন্দিরে একই এলাকার অধিবাসী বিপুল চন্দ্রের নেতৃত্বে ২০/ ২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও বাসঁ/লাঠি নিয়ে আকস্মিক হামলা চালায়। জানা যায়, আনুমানিক রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বিপুল চন্দ্র এবং তার সাথে আরো ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী “মা দুর্গানিকেতন “নামের বাড়িটীতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে। নিজে সনাতন ধর্মাবলম্বী হলেও ভাংচুরে বিপুল চন্দ্রের হাত হতে বাড়ি সংলগ্ন মন্দিরটিও রক্ষা পায় নি। ভাংচুরে বাধা দিতে গেলে পরিবারের বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় দলিল লেখক সমির ঘোষের ভাই প্রসেঞ্জিত ঘোষ এর হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের শিকার হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনা চলাকালীন সময়ে বার বার জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাইলে প্রথমে দ:কেরানীগঞ্জ থানা ডিউটি অফিসার এবং পরে একজন এস আই মোবাইলে আসছি/আসব/ব্যাস্ত বলে শুধু কালেক্ষেপন করতে থাকেন।শুধু তাই নয়, ঘটনা শেষ অব্দি কোন পুলিশ সদস্য রাতে ঘটনা স্থলে আসেন নি। প্রাথমিক তথ্য অনুসন্ধানে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে এলাকার সুপরিচিত জমির দালাল বিপুল মজুমদার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অন্য এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে ভরত, অনিক ও সজীব এর সহযোগিতায় দলিল লেখক সমীর ঘোষের বাড়িতে আকর্ষিক আক্রমণ চালায় এবং বাড়ি ও বাড়ি সংলগ্ন মন্দির ভাঙচুর করে। শত্রুতার সূত্রপাত হয় সমীর ঘোষ এর ক্রয় কৃত একটি জমির সূত্র ধরে। বিপুলের বাবা হরিপাল মজুমদার ১৯৬২ সালে একটি জমি বিক্রি করেন। পরে ১৯৯৫ সালে খুরশিদ চেয়ারম্যানের ফুপু সেই লোকের কাছ হতে জমিটি ক্রয় করেন।তারপর বেশ ক”বছর আগে খোরশেদ চেয়ারম্যানের ফুফুর কাছ থেকে জায়গাটি ক্রয় করেন সমীর ঘোস। তারপর থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। হঠাৎ করেই কাউকে কিছু না জানিয়ে বিপুল চন্দ্র জায়গাটিতে একটি সাইনবোর্ড বসিয়ে ফেলেন। এবং সমীর ঘোষ এর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বিপুল মজুমদারের এহেন চাঁদাবাজি হতে রেহাই পেতে এবং ক্রয়ক্রিত জমির মালিকানা প্রাপ্তির আশায় ২০২২ সালে কেরানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজির মামলা হয়। বিপুল মজুমদার জমিটিতে আদালত মারফত ইনজেকশন জারি করার আবেদন করেন। কিন্তু মহামান্য আদালত তা না মঞ্জুর করে দেন। বর্তমানে সে মামলা চলমান। এ ঘটনার পর থেকেই সমীর ঘোষের পেছনে লেগে পড়ে বিপুল মজুমদার। বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে সমীর ঘোষ এবং তার পরিবারের সদস্যদের উত্তক্ত করতে থাকে। গত ১৫ তারিখ রাতে অনিক মজুমদার উচ্চস্বরে স্পিকারে গান বাজিয়ে উশৃংখল পরিবেশ তৈরি করে। অনেকক্ষণ পর সহ্য করতে না পেরে সমীর ঘোষ অনিককে সাউন্ড কমানোর জন্য অনুরোধ করেন। এবং কথা না বাড়িয়ে বাড়িতে চলে আসেন। তারপরই হঠাৎ সাড়ে দশটা নাগাদ বিপুল, ভারত, অনিক,সজিব সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায় সাথে মন্দিরেও হামলা করে এবং ভাঙচুর চালায়।যাওয়ার সময় প্রায় দুই লক্ষ টাকা এবং দের ভরি স্বর্ণ লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার জনসাধারণ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন এবং অতিসত্বর অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।