“দেশপ্রেম ও আন্তরিকতা”র সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডারের নতুন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৭, ১২৮ এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সনদ প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

গত ১৪ বছর ধরে সরকার পরিচালিত দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ধারা কোনোভাবেই যেন ব্যাহত না হয় সেই লক্ষে দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডারের নতুন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আপনাদের (বিসিএস কর্মকর্তাদের) আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। কারণ গত ১৪ বছর ধরে আমরা দেশের যে উন্নয়ন করেছি, তা কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।

সোমবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১২৭তম, ১২৮তম ও ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা ও ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার এবং অন্যান্য খাতে বাংলাদেশ কি পরিবর্তিত হয়নি? বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে।

বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ঐ সময়ে দেশে ৯ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল এবং দেশ স্থিতিশীলতার সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবারো দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি দেশে পরিণত করতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষে এই কাজ আরো তরান্বিত করতে নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ২১ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা সর্বদা জনগণের সেবা করতে বাধ্য। তাই আমি চাই, আপনারা (নতুন কর্মকর্তারা) জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করুন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজেকে কখনই প্রধানমন্ত্রী ভাবি না। আমি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করি। তাদের সেবা করাই আমার একমাত্র দায়িত্ব।

এ সময় তিনি নতুন কর্মকর্তাদের তৃণমূলে গিয়ে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জয় বাংলা (১২৭তম), রঙিন বাংলাদেশ (১২৮তম) ও গর্বিত বাংলাদেশ (১২৯তম) শীর্ষক তিনটি স্মারক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন একটি গবেষণাপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।