“বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হবো না।”- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হবো না।” শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায়, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, সরকার দেশ গড়বে। আমরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল হবো না, যারা আমাদের ভিসা দেবে না, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে… এটা ভেবে কোন লাভ নেই।” শেখ হাসিনা বলেন, “পৃথিবীতে অন্যান্য মহাসাগর এবং অন্যান্য মহাদেশ রয়েছে, আমরা সেই মহাদেশগুলোর সঙ্গে অন্য মহাসাগর অতিক্রম করে বন্ধুত্ব করবো। আমাদের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী এবং আরো উন্নত এবং প্রাণবন্ত হবে।”

‘ভোট কারচুপি’ এবং ‘জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলেছে’ সেই বিএনপির দিকে তাকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। বলেন, “কানাডার হাইকোর্ট বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ ঘোষণা করেছে। আর, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির জন্য তারেক জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেয়নি।”

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ ও সুবিধা কী, তা আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে। সেটা মাথায় রেখেই আমরা সব সময় কাজ করি এবং দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় রাখি। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশটি একটি উন্নত দেশ হবে। আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছি।”

শেখ হাসিনা বলেন যে দেশের মানুষের প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তিনি বলেন, “তারা জানে নৌকায় (আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিলেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করলে জনগণ আপনাদের (আওয়ামী লীগকে) প্রতিদান দেবে।”

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “আপনাদের সেটা মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কোনো অপশক্তি যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। অশুভ শক্তির কবল থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানো আমাদের দায়িত্ব।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিএনপি গণতন্ত্রের বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি অনুতপ্ত হন। তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিলো। দেশে স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে এবং এর ফলে এই অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।”