কুমিল্লার চম্পকনগর এলাকায় রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।

প্রকাশিত: ১২:১০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার : ২০০৬ সালে কুমিল্লার চম্পকনগর এলাকায় সেনিটারী মিস্ত্রি রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এরায় দেন। মোট ১৬ জন আসামীর মধ্যে চারজনকে খালাস এবং ১২ জনকে দন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় মোট ১৯ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন,  জুয়েল, শুভ, কাজল,   শিপন, মোর্শেদ, আলাউদ্দিন, রিপন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তি যারা পেয়েছেন তারা হলেন বাদল, ইকবাল, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার, সোহেল। তোরা হলেন সোহাগ, শরিফ, রনি, ইসহাক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ পি পি রফিকুল ইসলাম জানান,  ২০০৬ সালে বিভিন্ন অন্যায় কাজে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীদের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পহেলা মে রাতে হত্যা করা হয় চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে। এই ঘটনায় রানার বাবা জাহাঙ্গির খান ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  পরবর্তী তদন্তে আরো দশ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে তদন্ত কর্মকর্তা।  দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার চলমান তদন্তে আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে এ রায় দেন বিজ্ঞ বিচারক। রায়ে বিজ্ঞ বিচার সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড,  ৫পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ত্রিশ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দেন। রায় প্রদানের সময় মোট নয়জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  এর মধ্যে তিনজন  মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হাজির,  তিনজন যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ প্রাপ্ত হাজির এবং বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত তিনজন হাজির ছিলেন।  মৃত্যুদণ্ড ৪ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনসহ  মোট ছয় আসামি পলাতক রয়েছে।
রায় শেষে মামলার বাদী নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান দীর্ঘ ১৮ বছর পর ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তবে আসাম বিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন,  এই রায় এর বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।