চাঁদপুরের আলোচিত চেয়ারম্যান সেলিম খানের ক্রোক করা সম্পত্তির রিসিভার ৩ ডিসি।

প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের আলোচিত চেয়ারম্যান সেলিম খানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও জব্দ করার রায়ের এক বছর পর ঢাকা, চাঁদপুর এবং নারায়ণগঞ্জের ডিসিকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর চাঁদপুরের ডিসি কামরুল হাসান আদালতের এ সংক্রান্ত চিঠি পান এবং মূল রিসিভার হয়ে তিনি একটি কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।                                                দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সেলিম খানের সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছিলেন।

আদেশে বলা হয়, সেলিম খান তাঁর নামে থাকা সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা রূপান্তর করতে পারবেন না। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ জাতীয় দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই ক্রোক করা সম্পত্তিতে ৩ জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করার বিষয়ে আদেশ জারি করেন।

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ‘আদালতের এ সংক্রান্ত আদেশ পেয়েছি। চিঠি পাওয়ার পর স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রার অফিসকে জানিয়ে দিয়েছি যেন কোর্ট যে সম্পত্তির ওপর ক্রোকি পরোয়ানা আদেশ দিয়েছেন, সেগুলো বেচা-বিক্রি না হয়। এ ছাড়া এসব সম্পত্তি দেখভালে আদেশ অনুযায়ী যা করণীয় তা করব।’

এদিকে অন্য এক কর্মকর্তা জানান, এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠনে সোমবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সেলিম খানের নামে স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ১৯ দশমিক ৮৯ একর জমি, ঢাকার কাকরাইলে পাঁচতলা বাড়ি, কাকরাইলে ৭১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১০ তলা বাড়ি। এসবের মোট মূল্য ২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে– নদী থেকে বালু উত্তোলনের ছয়টি ড্রেজার, ৩টি প্রাইভেটকার, একটি পিস্তল, একটি শটগান।

এর আগে সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রায় ৬৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান বাদী হয়ে সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।