বিচারপতিকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য, বিএনপি নেতা হাবিবকে তলব

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

দলীয় কর্মসূচিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে উদ্দেশ করে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার ব্যাখ্যা জানতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ নভেম্বর সকালে তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। ওই বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, হাবিবকে সে ব্যাখ্যা দিতে হবে সেদিন।বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব মাননীয় বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্যটা এতটাই অশালীন যে কোনো শিক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এ বক্তব্য দিতে পারে না। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি মাননীয় প্রধান বিচারপতির নজরে আনলে সেটি তিনি হাইকোর্টে দেন। সে ধারাবাহিকতায় বিষয়টি কার্যতালিকায় উঠলে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
কবে, কোথায়, কোন কর্মসূচিতে হাবিবুর রহমান হাবিব এই বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি আইন কর্মকর্তা মাঈনুল হাসান।পাঁচ বছর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ছিলেন। সে সময় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে তিনি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আর ওই বছর ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে দেন সাত বছরের কারাদণ্ড। বিএনপি নেতা হাবিব বিচারিক আদালতের সে রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বিচারক আখতারুজ্জামানকে উদ্দেশ করে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর ‘মানুষ মানুষের জন্য’ নামের একটি ফেসবুক পেইজে হাবিবুর রহমান হাবিবের বক্তব্যের ভিডিওটি আপলোড দেওয়া হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির কোনো এক কর্মসূচিতে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে উদ্দেশ করে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন হাবিবুর রহমান হাবিব।সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে গত ১২ অক্টোবর দিনাজপুরের পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।
তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এ টাকা পরিশোধ না করলে তাকে আরো সাত দিন কারাদণ্ড ভোগের আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।