বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট,নতুন অর্থ বছরের জন‌্য সরকারের ব‌্যয় অনুমোদন করেছে জাতীয় সংসদ।

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : সোমবার সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন‌্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার  বাজেট অনুমোদন করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২৩ সংসদে উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে রবিবার সংসদে পাস হয় অর্থবিল। আগামী ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে নির্দিষ্টকরণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।

অর্থমন্ত্রী গত ১ জুন ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখ’ শিরোনামে এ বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেন। সংসদ সদস‌্যদের দীর্ঘ আলোচনা শেষে সোমবার তা পাস হল।

সাধারণত প্রতিবছর ২৯ বা ৩০ জুন বাজেট পাস করে সংসদ। এবার কোরবানির ঈদের ছুটির কারণে কিছুটা আগেভাগে পাস হল।

এবারের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে আয়ের প্রাক্কলন হচ্ছে ৫ লাখ কোটি টাকা।

এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

এ ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও পরিকল্পনা বাজেটে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সরকার ঋণ নেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ হিসাবে এক লাখ দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।

অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সরকার সবচেয়ে বেশি ধার নেবে ব্যাংক খাত থেকে, যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

এবারের বাজেটে প্রবৃদ্ধি লক্ষ‌্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল‌্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ‌্যে সীমিত রাখার লক্ষ‌্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার পাস হওয়া এ বাজেট সরকারের টানা তিন মেয়াদের ১৫তম এবং চলতি মেয়াদের শেষ এবং বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট।