তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়: আজরা জেয়া

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি :: আগামী সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে, সত্যিকারের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া। বাংলাদেশ সফর শেষে ইউএনবিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহবান জানান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

আজরা জেয়া বলেন, “আমি যে বার্তার উপর জোর দিতে চাই, তা হলো সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও ন্যায্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমর্থন করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানানো।” তিনি বলেন, “আসুন আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দেই।”

আজরা জেয়া বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করা।” সম্ভাব্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা বর্জনের প্রশ্নগুলো বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, “এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা দেখছি না। আমি শুধু বলতে চাই যে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিই না।” বিভিন্ন বৈঠকে, বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বলে জানান তিনি।

আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেন, “ এ ক্ষেত্রে সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেন, “আমাদের অংশীদারিত্ব বিস্তৃত এবং এটা প্রভাবশালী। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।” ভিসা নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত অঙ্গীকারকে সমর্থন করতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের আলোচনায় এটি খুব ইতিবাচকভাবে এসেছে।”

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে তিনি জানান যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি।বলেন যে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন। “সুতরাং আমরা মূল্যায়ন করছি এবং আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবো। এটি যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে করে থাকে;” বলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি।