কুমিল্লায় আরও ৭৪৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য “আশ্রয়ন প্রকল্প-২” এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

প্রকাশিত: ৯:০৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৩
কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লা জেলায় আরও ৭৪৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার তাদের ঠিকানা পেতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’।  ‘আশ্রয়ন প্রকল্প-২’ এর জেলার ৭৪৫ টি পরিবারের হাতে ঘর ও জমি তুলে দেয়া হবে। আগামী ৯ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর উদ্বোধন করবেন।

গতকাল সোমবার (৭ আগষ্ট) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জানান, কুমিল্লায় আশ্রয়ণ প্রকল্প চতুর্থ পর্যায়ের অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এই পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৬ শ ৬টি ঘরের মধ্যে ১ হাজার ২ শ ৪টি সম্পন্ন করা হয়েছে। ৯ আগষ্ট কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায় ৪০টি, সদর দক্ষিণ উপজেলার ১১০টি, বরুড়ায় ৩২টি, দাউদকান্দিতে ৯০ টি, মেঘনায় ৬৯টি, তিতাসে ৭৯ টি, হোমনায় ৩৩টি, মুরাদনগরে ১৭০ টি এবং বুড়িচংয়ে ২২টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।

জেলা প্রাশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কুমিল্লা জেলার আশ্রয়ন প্রকল্প -২ এর আওতায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীনের সংখ্যা ৫ হাজার ৭ শ ৫৮। এর মধ্যে মোট বরাদ্দকৃত ঘরের সংখ্যা ৫ হাজার ৪ শ ৭১ টি। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৭ শ ২৬টি ঘর উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ৯ আগষ্ট আরো ৭৪৫ টি ঘর হস্তান্তর হবে । এখনো ২৭০ টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায় নি। বাকী অন্যান্য ঘরগুলো বেসরকারি সহযোগিতায় নির্মিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন আরো জানায়, গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চান্দিনা, লালমাই ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এই পর্যায়ে ৯ আগষ্ট আরো ৬ উপজেলা বরুড়া, হোমনা, মেঘনা, তিতাস, নাঙ্গলকোট ও বুড়িচং উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়–য়া, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইমদাদুল হক তালুকদার, জেলা তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিন, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসনাত বাবুল, বাসস প্রতিনিধি অশোক বড়–য়া, দৈনিক কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীউল হক সোহাগ, সাংবাদিক মাহাবুব আলম বাবু, একুশে টিভির রিপোর্টার হুমায়ন কবির রনি, একাত্তর টেলিভিশন প্রতিনিধি এনামুল হক ফারুকসহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।