নির্বাচন প্রতিরোধ করতে এলে দাঁতভাঙা জবাব দেব : নানক

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২৩

আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কেউ নির্বাচনকে প্রতিরোধ করতে চাইলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে আবার নাও নিতে পারে।

নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। তবে বিএনপিকে পরিষ্কারভাবে বলে দিচ্ছি, নির্বাচন প্রতিরোধ করতে এলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, এবার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’

আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পক্ষে আদাবর থানা আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নির্বাচন প্রতিহতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে বিএনিকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে জানিয়ে নানক বলেন, ‘যে হাতে বোমা মারবেন সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যে হাতে আগুন দেবেন সেই হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। কারণ আমরা জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘লালবাগ থেকে ছয়জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছে।

যারা ছাত্রদলের অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী। ওরা অস্ত্র আনছে, অস্ত্র মজুদ করছে নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রতিরোধ করার জন্য। কাজেই যারা অস্ত্র মজুদ করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু স্লোগান দিলে হবে না। সতর্ক সৈনিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ওদের আস্তানাগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওরা কোথায় সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে, কোথায় অস্ত্র মজুদ করছে; তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জানাতে হবে। ওরা সেই পুরনো চরিত্রে ফিরে গেছে। ওরা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল। ওরা এই দেশকে আফগানিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল। আবার এই দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দিচ্ছে। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি সন্ত্রাসীদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে নানা নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী নানক। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে, শেখ হাসিনা কথা দিলে কথা রাখে।’

‘আমি যখন এমপি হয়েছিলাম, এই আদাবরকে বাসযোগ্য তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করার কথা দিয়েছিলাম। আদাবর কি তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হয় নাই?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীম। সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, আদাবর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান তুহিন।