বঙ্গবন্ধু একজন অসামান্য কিংবদন্তি নেতা ছিলেন : মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২৩

সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একজন অসামান্য কিংবদন্তি নেতা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কারো তুলনা করা যায় না। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে এই আলোচনা সভা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ)।

 

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পরিস্থিতি এতটাই প্রতিকূলে ছিল যে, আমরা একটি সময়োচিত প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমাদের মিছিল বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজকে যত সুন্দর পরিবেশ দেখা যায় এত মসৃণ ছিল না কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি।

এটি শেখ হাসিনার অবদান। তিনি নতুন প্রজন্মকে এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে শেখ মুজিবুর রহমান অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন।

তিনি শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি গর্বিত দেশ।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু হয়েছে, এর বলি হয়েছেন অনেকেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেও এ প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। মুজিব আমলে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত পরে বাতিল করা হয়েছিল।

মাকসুদ কামাল মনে করেন, বিদেশি নেতাদের সাম্প্রতিক পাঠানো চিঠি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানকে পশ্চিমাদের ব্যর্থ সহায়তার মতো হবে।

মতিয়া চৌধুরী

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, যুগ্ম মহাসচিব সুভাষ সিংহ রায়। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৈৗধুরী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত। আলোচনায় জাতীয় কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারীদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দাবি জানানো হয়।