নিজস্ব প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিদেশিরা আমাদের প্রত্যেকটি ব্যাপারে নোংরা ও অনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে। মনে হচ্ছে, বিশ্বে আর কোনো দেশ নেই। বাংলাদেশই একটা মাত্র দেশ। তাদের দাবারগুটি হলো বাংলাদেশ।

আর তাদর দাওয়াত দিয়ে আনছে বিএনপি।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস ও ২১শে আগস্ট উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বিচার সবার জন্য সমান। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান।

আইনের দৃষ্টিতে কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। বিদেশিরা বিচার বন্ধ করার কথা না বলে বিচার পর্যবেক্ষণের কথা বলতে পারতেন। সুচিসহ আরো অনেক নোবেল বিজয়ীর বিচার হয়েছে। কই তখনতো আমরা এমন বিবৃতি দেখিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। তারপরও বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। কারণ তারা সংবিধান মানে না। বিচার, আইন ও আদালত কোনোকিছুই তারা মানে না। প্রধানমন্ত্রী বারবার ঘোষণা করছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে।

আর এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকার সর্বোত্র সহযোগিতা করবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। তারপরও তারা মানে না। তারা বলছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আন্দোলন বেগবান করবে। আন্দোলন বেগবান মানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ও জঙ্গিদের আমদানি। কারণ জনগণ তাদের সাথে নেই। ৭১-এ যেভাবে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একত্রিত ছিলাম এখন আবার ঠিক সেভাবেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, আজকে নতুন করে আবার দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আর এগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখনও অনেকেই সহ্য করতে পারে না। তাই যখনই বাংলাদেশ এগিয়ে যায় তখনই আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত শুরু হয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাট্যজন ফাল্গুনী হামিদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. বলরাম পোদ্দার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানসহ দলটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।