আমি বিক্রি হওয়ার লোক নই : জি এম কাদের

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাকরিজীবনে কখনো অতিরিক্ত সরকারি সুবিধা নিইনি, সব সময় নীতির মধ্যে চলেছি। সরকারি চাকরিতে থাকতে বিদেশে গেলে নিজের পরিবারের খরচ নিজে বহন করেছি। খুব বেদনা পেয়েছি, কোনো একটি ইউটিউব চ্যানেল নাকি প্রচার করছে জি এম কাদের বিক্রি হয়ে গেছেন। চাকরিজীবনে আমার অনেক পাওনাও গ্রহণ করিনি নীতির প্রশ্নে।

চাকরিজীবনে আমার জন্য বরাদ্দের অংশটুকুই গ্রহণ করেছি।

আজ বুধবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, ২৫ বছর চাকরি করেছি, চাকরির শেষ ১০ বছর আমি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। এর মধ্যে শেষের দুই বছর আমার হাতে দেশের সম্পূর্ণ পেট্রোলিয়াম দ্রব্য ক্রয় করা হতো।

অবৈধ টাকা-পয়সা অর্জনের সুযোগ ছিল আমার, আমি কখনোই করিনি। ২৮ বছরের রাজনীতিতে ২০ বছর এমপি, ৫ বছরে দুটি মন্ত্রণালয় চালিয়েছি। আমি বিক্রি হওয়ার লোক নই, আমি দল এবং দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করি।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ভারত একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুন্দর নির্বাচন চায়। তারা চায় নির্বাচনের আগে ও পরে যেন কোনো সহিংসতা না হয়।

কে ক্ষমতায় আসবে বা কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা নিয়ে ভারতের কোনো বক্তব্য নেই। তারা মনে করে, এসব বিষয় ঠিক করবে দেশের জনগণ, এগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার। ভারত চায়, বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোতে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।

জি এম কাদের বলেন, আমি বলতে চেয়েছি, দুটি দেশের সরকার প্রধান বা যেকোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় যৌথ একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। দুটি পক্ষ যেটুকু প্রকাশে সম্মত হবে, ততটুকুই প্রকাশ করা হয়। সেদিন বিমানবন্দরে স্পর্শকাতর বিষয় মনে করে কথা বলার সময় অনুমতি শব্দটি ব্যবহার না করে সম্মতি শব্দটি ব্যবহার করলে আরো ভালো হতো। আমি যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তাদের সম্মতি ছাড়া প্রকাশ করাটা ভদ্রতা মনে করি না।

তিনি বলেন, ভারত সরকার আমাকে দাওয়াত করেছিল, নিজের খরচে সহযোগীদের নিয়ে ভারত সফর করেছি। জাতীয় পার্টি একটি সম্ভাবনাময় দল, সে কারণে জাপার প্রতি ভারত সরকারের আগ্রহ রয়েছে। আমাদের মাঝে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে কথা হয়েছে।