ফুটবল ফাটানোয় ৪৫ শিক্ষার্থীকে ২ দিন অনাহারে রাখল স্কুল ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি শিক্ষার্থীরা খেলতে খেলতে ফুটবল ফাটিয়ে ফেলায় ‘শাস্তি’ দিতে তাদের দুই দিন অনাহারে রাখার অভিযোগ উঠল এক আবাসিক স্কুলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ছত্তিশগড়ের সুরজপুর জেলায়। আবাসিক স্কুলের এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয়রাও। রাজধানী রাইপুর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অম্বিকাপুরে অবস্থিত আবাসিক স্কুলটি। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানরা স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অম্বিকাপুরের এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৪১। অভিযোগ, প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থী থাকলেও তাদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। দুটি ঘরের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। ৪৫ শিক্ষার্থীকে অনাহারে রাখার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, যখন স্থানীয়রা তাদের মাঝের বিস্কুট বিতরণ করতে গিয়েছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে তারা জানতে পারেন, দুই দিন ধরে তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা জানার পরই হৈচৈ পড়ে যায়। স্থানীয়রা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান। অভিভাবকরাও আসেন। তারাও স্কুলের এই ‘অমানবিক’ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান। বিষয়টি নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ফুটবল খেলছিল। খেলার সময় ফুটবল ফেটে যায়। এই খবর স্কুলের সুপার পিটার স্যাডমের কাছে পৌঁছলে তিনি শিক্ষার্থীদের উচিত ‘শিক্ষা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ‘ভুলের’ জন্য শিক্ষার্থীদের অনুশোচনা হওয়া উচিত এবং ভুল করলে কী শাস্তি পেতে হবে, তা টের পাওয়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের না খাইয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন সুপার। তদন্তের প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনে সূত্রে জানা যায়, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে সুপার স্যাডম স্বীকার করেছেন, শিক্ষার্থীদের খাবার বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি যুক্তি দেখান, লড়াই কী বিষয়, সেটি শেখার প্রয়োজন আছে শিশুদের। তাই এ কাজ করেছেন। যদিও তার এই যুক্তি ধোপে টেকেনি। সাসপেন্ড করা হয় সুপারকে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #অপরাধ#ভারত