একসঙ্গে ১৬ জায়গায় চাকরি, অবশেষে ধরা খেলেন চীনা নারী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি বৈধ বা সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে এক দিন অনুপস্থিত থাকলেই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু গুয়ান ইউ নামের একজন চীনা নারী ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে অন্য জায়গায় চাকরিতে যেতেন। তার বিরুদ্ধে একসঙ্গে ১৬টি চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিন বছর ধরে একাধিক প্রতিষ্ঠানে এভাবে প্রতারণা করছিলেন তিনি। গুয়ান তার কর্মসংস্থানগুলোর বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখতেন। এর মধ্যে ছিল কাজ শুরুর তারিখ, পদবি, প্রতিষ্ঠানের নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর। যার ফলে তার কোনো অসুবিধা হতো না। কোথায় কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করছেন তা গুলিয়ে ফেলতেন না। শুধু তাই নয়, অফিসের বাইরে থেকেও ঠিক সময় অফিসের গ্রুপ চ্যাটে নিয়মিত ছবি পাঠাতেন তিনি। ছবি পাঠিয়ে অফিসকে বোঝাতে চাইতেন, তিনি ক্লায়েন্টের সঙ্গে বাইরে মিটিংয়ে আছেন। আবার অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান তাকে চাকরির প্রস্তাব দিলে সহজে হাতছাড়া করতেন না। টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রস্তাবগুলো অন্যদের কাছে বিক্রি করতেন। গত মঙ্গলবার (৫সেপ্টেম্বর) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার স্বামী চেন কিয়াংয়ের সঙ্গে সাংহাইয়ে একটি বাড়ি কেনার জন্য প্রচুর অর্থ জমা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন তিনি। অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তার এই প্রতারণা ধরা পড়ে। লিউ জিয়ান নামের একজন তার কম্পানির জন্য কিছু লোক নিয়োগ দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি প্রকল্পের জন্য একজন দলনেতা এবং সাতজন সদস্য নিয়োগ দেন। যাদের প্রত্যেকেরই জীবন-বৃত্তান্তে ব্যাপক অভিজ্ঞতার কথা লেখা ছিল। কিন্তু অভিজ্ঞতা থাকলেও কাজের কোনো ফলাফল দেখাতে পারেননি তারা। ফলে তাদের সঙ্গে লিউ জিয়ানের কম্পানির চুক্তি বাতিল করা হয়। প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা লিউ জিয়ান গুয়ানের কাগজপত্রে কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পান। পরে আবিষ্কার করেন, গুয়ান তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। প্রতারিত হয়ে লিউ পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান। অবশেষে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনা তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, গুয়ান ও কিয়াং দম্পতির একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেগুলোতে অবৈধ পথে অর্থ আসছিল। এ ছাড়া গুয়ান এবং কিয়াংসহ আরো ৫৩ জন শ্রমিকের মজুরি নিয়েও ঝামেলা করেছিল। শ্রমিকদের আইন অনুযায়ী তারা বেতন দিতেন না। যার পরিমাণ ছিল ৫০ মিলিয়ন ইউয়ান। এ ঘটনা চীনা নেটিজেনদের হতবাক করেছে। তারা কর্মসংস্থানের নিয়ম-নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেউ কেউ বলছেন, সংস্থাগুলো নিয়ম এবং আইন মেনে চললে এই ঘটনা ঘটত না। সূত্র : এশিয়া ওয়ান SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #চীন
বৈধ বা সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে এক দিন অনুপস্থিত থাকলেই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু গুয়ান ইউ নামের একজন চীনা নারী ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে অন্য জায়গায় চাকরিতে যেতেন। তার বিরুদ্ধে একসঙ্গে ১৬টি চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিন বছর ধরে একাধিক প্রতিষ্ঠানে এভাবে প্রতারণা করছিলেন তিনি।
গুয়ান তার কর্মসংস্থানগুলোর বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখতেন। এর মধ্যে ছিল কাজ শুরুর তারিখ, পদবি, প্রতিষ্ঠানের নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর। যার ফলে তার কোনো অসুবিধা হতো না। কোথায় কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করছেন তা গুলিয়ে ফেলতেন না।
শুধু তাই নয়, অফিসের বাইরে থেকেও ঠিক সময় অফিসের গ্রুপ চ্যাটে নিয়মিত ছবি পাঠাতেন তিনি। ছবি পাঠিয়ে অফিসকে বোঝাতে চাইতেন, তিনি ক্লায়েন্টের সঙ্গে বাইরে মিটিংয়ে আছেন। আবার অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান তাকে চাকরির প্রস্তাব দিলে সহজে হাতছাড়া করতেন না। টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রস্তাবগুলো অন্যদের কাছে বিক্রি করতেন।
গত মঙ্গলবার (৫সেপ্টেম্বর) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার স্বামী চেন কিয়াংয়ের সঙ্গে সাংহাইয়ে একটি বাড়ি কেনার জন্য প্রচুর অর্থ জমা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন তিনি। অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তার এই প্রতারণা ধরা পড়ে। লিউ জিয়ান নামের একজন তার কম্পানির জন্য কিছু লোক নিয়োগ দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি প্রকল্পের জন্য একজন দলনেতা এবং সাতজন সদস্য নিয়োগ দেন। যাদের প্রত্যেকেরই জীবন-বৃত্তান্তে ব্যাপক অভিজ্ঞতার কথা লেখা ছিল।
কিন্তু অভিজ্ঞতা থাকলেও কাজের কোনো ফলাফল দেখাতে পারেননি তারা। ফলে তাদের সঙ্গে লিউ জিয়ানের কম্পানির চুক্তি বাতিল করা হয়। প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা লিউ জিয়ান গুয়ানের কাগজপত্রে কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পান। পরে আবিষ্কার করেন, গুয়ান তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। প্রতারিত হয়ে লিউ পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান। অবশেষে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনা তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, গুয়ান ও কিয়াং দম্পতির একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেগুলোতে অবৈধ পথে অর্থ আসছিল। এ ছাড়া গুয়ান এবং কিয়াংসহ আরো ৫৩ জন শ্রমিকের মজুরি নিয়েও ঝামেলা করেছিল। শ্রমিকদের আইন অনুযায়ী তারা বেতন দিতেন না। যার পরিমাণ ছিল ৫০ মিলিয়ন ইউয়ান। এ ঘটনা চীনা নেটিজেনদের হতবাক করেছে। তারা কর্মসংস্থানের নিয়ম-নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেউ কেউ বলছেন, সংস্থাগুলো নিয়ম এবং আইন মেনে চললে এই ঘটনা ঘটত না। সূত্র : এশিয়া ওয়ান