গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ : পরীক্ষার মুখে যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্ক

প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে গত মার্চে ব্রিটেনের সংসদ থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর মধ্যে একজন সংসদে গবেষক হিসেবে কাজ করছিলেন। অন্যদিকে চীন গোয়েন্দা তথ্য চুরির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওই দুজনকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সপ্তাহান্তে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওই দুজনের বাড়ি এবং পূর্ব লন্ডনের এক ঠিকানায় তল্লাশি করা হয়েছে।’গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়নি। দুজনই অক্টোবর পর্যন্ত জামিনে মুক্ত আছেন।

সন্দেহভাজন গবেষক তার আইনজীবীদের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি ‘পুরোপুরি নির্দোষ’। 

যুক্তরাজ্যের চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে গোয়েন্দা তথ্য চুরির অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিদ্বেষপূর্ণ অপবাদ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

নিরাপত্তা, বিনিয়োগ ও মানবাধিকার ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ইতিমধ্যে খারাপ অবস্থায় আছে। হংকংয়ে নাগরিক স্বাধীনতার ওপর চীনের অভিযানের সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য।

এ ছাড়া পারমাণবিক শক্তি ও ৫জি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মতো কৌশলগত খাত থেকে চীনা কম্পানিগুলোকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। 

ভারতে জি২০ সম্মেলনের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আলোচনার সময় গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়টি তুলেছিলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যমে সুনাক জানান, তিনি ‘আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রে যেকোনো হস্তক্ষেপের বিষয়ে অত্যন্ত দৃঢ় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’ এর পরও অবশ্য তিনি চীনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তবে সুনাকের দলের অনেকে মনে করেন, সরকারের বর্তমান চীন নীতি ‘দুর্বল’।

তারা চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন।