আ. লীগের আমলে সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। আজকে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনগুলো করছি, তখনই আবার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর অর্থটা কী?’আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি আমরা। রাজপথে ছিলাম, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছি। সেই রক্তে রঞ্জিত শহীদের তালিকা দেখলে আমাদের আওয়ামী লীগের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামের তালিকাই পাওয়া যাবে। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের যে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছি সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেখি নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং নির্বাচন নিয়ে সবাই খুব সোচ্চার। কিছু দেশ আমাদের দেশের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। সেসব দেশের কাছে আমার প্রশ্ন, ১৯৭৫ সালের পর বারবার যে নির্বাচনগুলো হয়েছিল সেই ১৯৭৭ সালে ‘হ্যাঁ/না’ ভোট বা রাষ্ট্রপতি ভোট, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন, ১৯৮১ সালের নির্বাচন, ১৯৮৬ সালের নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অথবা ২০০১ সালের নির্বাচনে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অত্যাচার-নির্যাতন, সে সময় তাদের চেতনা কোথায় ছিল? সে সময় তাদের বিবেক কি নাড়া দেয়নি?’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নির্বাচনটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন তো উত্তরবঙ্গে কোনো মঙ্গা নেই। গত ১৫ বছরের কাছাকাছি সময়ে এক দিনের জন্যও তো মঙ্গা হয়নি। মানুষের তো খাদ্যের অভাব হয়নি। আমরা তো দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তার শুভ ফলটা তো তৃণমূলের মানুষও পাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি।’তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কথা দিয়েছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেব, ঘরে ঘরে আলো জ্বালব। আমরা তো জ্বালতে পেরেছি। যদিও এর মাঝে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন, তার আগে গেল কভিডের অতিমারি, যেখানে সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, তার পরও এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা তো পিছিয়ে নেই।’সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করছে। আওয়ামী লীগের আমলে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এর চেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে? বা পৃথিবীর কোন দেশে হয়ে থাকে? অনেক দেশের নির্বাচন তো এখনো তাদের বিরোধী দল মানেইনি। এ রকমও তো ঘটনা আছে। তার পরও আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেকের অনেক ছবক শুনতে হচ্ছে।’ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাদ্য মুজদ আছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি জানি এখন এমন একটা সময় মুদ্রাস্ফীতি, কিছু মানুষের অবশ্যই কিছু কষ্ট হচ্ছে। তবে জিনিসের কিন্তু অভাব নেই, এটাই আমি বলতে পারি। উৎপাদনে কিন্তু ঘাটতি নেই এবং উৎপাদনের যে জাগয়া দরকার আমরা কিন্তু সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাজারে গেলে কোনো জিনিসের কিন্তু অভাব নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় যেন কৃত্রিম উপায়ে কিছু মূল্য বাড়ানো হয়, ইচ্ছা করে বাড়ানো হয়। অনেক সময় গোডাউনে রেখে দিয়ে বা একটা খেলা খেলে, এটা হলো বস্তবতা। কিন্তু আমরা পদক্ষেপ নিলেই সেটা আবার কমে আসে। ইতিমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমি বলেছি, প্রত্যেকটা বাজার মনিটর করতে, দেখতে। আর তা ছাড়া অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে আমি বলেছি বিশেষভাবে দেখার জন্য।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিন্তু খাদ্যের অভাব নেই। যাদের আমরা প্রতি মাসে খাবার দিই, সামাজিক নিরাপত্তায় যে খাবার দিই সেগুলো আমরা তাদের দুই মাসের করে, তিন মাসের করে একসঙ্গে দিয়ে সেখানে জায়গা করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের রিজার্ভ চাল আছে ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন। আর গম এক লক্ষ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু আমাদের চাহিদা কিন্তু এত না। আমাদের ১২ লক্ষ মেট্রিক টন হলেই হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের কাছে এখন অতিরিক্ত খাবার আছে।’ SHARES জাতীয় বিষয়: #আওয়ামীলীগ
নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। আজকে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনগুলো করছি, তখনই আবার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর অর্থটা কী?’আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি আমরা।
রাজপথে ছিলাম, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছি। সেই রক্তে রঞ্জিত শহীদের তালিকা দেখলে আমাদের আওয়ামী লীগের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামের তালিকাই পাওয়া যাবে। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের যে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছি সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেখি নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং নির্বাচন নিয়ে সবাই খুব সোচ্চার।
কিছু দেশ আমাদের দেশের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। সেসব দেশের কাছে আমার প্রশ্ন, ১৯৭৫ সালের পর বারবার যে নির্বাচনগুলো হয়েছিল সেই ১৯৭৭ সালে ‘হ্যাঁ/না’ ভোট বা রাষ্ট্রপতি ভোট, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন, ১৯৮১ সালের নির্বাচন, ১৯৮৬ সালের নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অথবা ২০০১ সালের নির্বাচনে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অত্যাচার-নির্যাতন, সে সময় তাদের চেতনা কোথায় ছিল? সে সময় তাদের বিবেক কি নাড়া দেয়নি?’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নির্বাচনটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন তো উত্তরবঙ্গে কোনো মঙ্গা নেই। গত ১৫ বছরের কাছাকাছি সময়ে এক দিনের জন্যও তো মঙ্গা হয়নি।
মানুষের তো খাদ্যের অভাব হয়নি। আমরা তো দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তার শুভ ফলটা তো তৃণমূলের মানুষও পাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি।’তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কথা দিয়েছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেব, ঘরে ঘরে আলো জ্বালব।
আমরা তো জ্বালতে পেরেছি। যদিও এর মাঝে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন, তার আগে গেল কভিডের অতিমারি, যেখানে সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, তার পরও এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা তো পিছিয়ে নেই।’সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করছে। আওয়ামী লীগের আমলে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এর চেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে? বা পৃথিবীর কোন দেশে হয়ে থাকে? অনেক দেশের নির্বাচন তো এখনো তাদের বিরোধী দল মানেইনি। এ রকমও তো ঘটনা আছে। তার পরও আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেকের অনেক ছবক শুনতে হচ্ছে।’ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাদ্য মুজদ আছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি জানি এখন এমন একটা সময় মুদ্রাস্ফীতি, কিছু মানুষের অবশ্যই কিছু কষ্ট হচ্ছে। তবে জিনিসের কিন্তু অভাব নেই, এটাই আমি বলতে পারি। উৎপাদনে কিন্তু ঘাটতি নেই এবং উৎপাদনের যে জাগয়া দরকার আমরা কিন্তু সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাজারে গেলে কোনো জিনিসের কিন্তু অভাব নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় যেন কৃত্রিম উপায়ে কিছু মূল্য বাড়ানো হয়, ইচ্ছা করে বাড়ানো হয়। অনেক সময় গোডাউনে রেখে দিয়ে বা একটা খেলা খেলে, এটা হলো বস্তবতা। কিন্তু আমরা পদক্ষেপ নিলেই সেটা আবার কমে আসে। ইতিমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমি বলেছি, প্রত্যেকটা বাজার মনিটর করতে, দেখতে। আর তা ছাড়া অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে আমি বলেছি বিশেষভাবে দেখার জন্য।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিন্তু খাদ্যের অভাব নেই। যাদের আমরা প্রতি মাসে খাবার দিই, সামাজিক নিরাপত্তায় যে খাবার দিই সেগুলো আমরা তাদের দুই মাসের করে, তিন মাসের করে একসঙ্গে দিয়ে সেখানে জায়গা করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের রিজার্ভ চাল আছে ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন। আর গম এক লক্ষ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু আমাদের চাহিদা কিন্তু এত না। আমাদের ১২ লক্ষ মেট্রিক টন হলেই হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের কাছে এখন অতিরিক্ত খাবার আছে।’