কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে ভারত ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩ ভারত কানাডার নাগরিকদের ভিসা ইস্যু স্থগিত করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জানানো হয়, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা জারি থাকবে। উল্লেখ্য কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বর্তমানে তুঙ্গে রয়েছে। বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল কানাডায় অনলাইন ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর পরিচালনা করে। তারা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘পরিচালনা সংক্রান্ত কারণে… পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে’। এই বিজ্ঞপ্তি এমন এখন সময় আসলো, যখন কানাডা জানিয়েছে খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার পেছনে সম্ভবত ভারতের হাত রয়েছে এবং এই বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমান রয়েছে।তবে গত মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ট্রুডোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, ‘কানাডায় যেকোনো সহিংসতায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কানাডার প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।’ তবে ভিসা স্থগিতের বিষয়টি এর সঙ্গে যুক্ত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারত আর কানাডার মধ্যে বৈরিতার সম্পর্ক নেই, তবুও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয়েছে যে, একে অপরের একজন করে শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। সম্প্রতি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তবে ওই শীর্ষ সম্মেলনেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার কারনে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা আরো বেড়ে যায়। দেখা গেছে যে শীর্ষ সম্মেলনের সময় ট্রুডো নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে করমর্দন করেই দ্রুত সেখান থেকে সরে যান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয় যে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মোদি। তবে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডা সবসময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করেন। সেখানে সাধারণ শিখরা প্রায়ই স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে মিছিলসহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকেন। এ বিষয়টি নিয়ে কানাডার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ভারত। গত সোমবার ট্রুডো বলেছিলেন, তার দেশের নিরাপত্তা সংস্থার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা নির্দেশ করে, ভারত সরকারের এজেন্টরা নিজ্জারকে হত্যা করেছে। যিনি একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। ট্রুডো বলেন,‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন। এই ঘটনা স্বাধীন, মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পরিপন্থী।’ ভারত সরকার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। কানাডার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রকাশ্যে এই ধরনের বিষয়ের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করার বিষয়ে ভারত তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের অপ্রমাণিত অভিযোগগুলো খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থীদের থেকে ফোকাস সরিয়ে ফেলে। যাদেরকে কানাডায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং তারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকি দিয়ে চলেছে। এই বিষয়ে কানাডা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা একটি দীর্ঘস্থায়ী। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় গত ১৮ জুন একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হারদীপ সিং নিজ্জারকে। ভ্যাঙ্কুভার থেকে প্রায় ৩০ কিমি (১৮ মাইল) পূর্বে অবস্থিত শহর সারেতে গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারে দুই মুখোশধারী বন্দুকধারী নিজ্জারকে তার গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। হারদ্বীপ সিং নিজ্জার ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে আলাদা ও স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার তৎপরতায় যুক্ত থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি SHARES রাজনীতি বিষয়: বিএনপি
ভারত কানাডার নাগরিকদের ভিসা ইস্যু স্থগিত করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জানানো হয়, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা জারি থাকবে। উল্লেখ্য কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বর্তমানে তুঙ্গে রয়েছে। বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল কানাডায় অনলাইন ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর পরিচালনা করে।
তারা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘পরিচালনা সংক্রান্ত কারণে… পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে’। এই বিজ্ঞপ্তি এমন এখন সময় আসলো, যখন কানাডা জানিয়েছে খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার পেছনে সম্ভবত ভারতের হাত রয়েছে এবং এই বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমান রয়েছে।তবে গত মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ট্রুডোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, ‘কানাডায় যেকোনো সহিংসতায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।’ তবে ভিসা স্থগিতের বিষয়টি এর সঙ্গে যুক্ত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারত আর কানাডার মধ্যে বৈরিতার সম্পর্ক নেই, তবুও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয়েছে যে, একে অপরের একজন করে শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। সম্প্রতি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তবে ওই শীর্ষ সম্মেলনেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার কারনে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা আরো বেড়ে যায়। দেখা গেছে যে শীর্ষ সম্মেলনের সময় ট্রুডো নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে করমর্দন করেই দ্রুত সেখান থেকে সরে যান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয় যে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মোদি। তবে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডা সবসময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করেন। সেখানে সাধারণ শিখরা প্রায়ই স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে মিছিলসহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকেন। এ বিষয়টি নিয়ে কানাডার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ভারত। গত সোমবার ট্রুডো বলেছিলেন, তার দেশের নিরাপত্তা সংস্থার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা নির্দেশ করে, ভারত সরকারের এজেন্টরা নিজ্জারকে হত্যা করেছে। যিনি একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। ট্রুডো বলেন,‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন। এই ঘটনা স্বাধীন, মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পরিপন্থী।’ ভারত সরকার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। কানাডার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রকাশ্যে এই ধরনের বিষয়ের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করার বিষয়ে ভারত তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের অপ্রমাণিত অভিযোগগুলো খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থীদের থেকে ফোকাস সরিয়ে ফেলে। যাদেরকে কানাডায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং তারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকি দিয়ে চলেছে। এই বিষয়ে কানাডা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা একটি দীর্ঘস্থায়ী। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় গত ১৮ জুন একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হারদীপ সিং নিজ্জারকে। ভ্যাঙ্কুভার থেকে প্রায় ৩০ কিমি (১৮ মাইল) পূর্বে অবস্থিত শহর সারেতে গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারে দুই মুখোশধারী বন্দুকধারী নিজ্জারকে তার গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। হারদ্বীপ সিং নিজ্জার ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে আলাদা ও স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার তৎপরতায় যুক্ত থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি