খালেদা জিয়াকে আবারও সিসিইউতে স্থানান্তর ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আবারও সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, অতি দ্রুত তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার। যেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এ জন্য তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে তার পরিবার। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসা জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানানো হয়।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রের জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া তার মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরো কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।২০২১ সালের এপ্রিলে কভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছরের জুনে বুকে ব্যথা অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।চলতি বছরের ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে ওই হাসপাতালের প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। SHARES জাতীয় বিষয়: #খালেদাজিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আবারও সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, অতি দ্রুত তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার। যেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এ জন্য তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে তার পরিবার।
এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসা জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানানো হয়।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রের জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া তার মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরো কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।২০২১ সালের এপ্রিলে কভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছরের জুনে বুকে ব্যথা অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
এর একটিতে রিং পরানো হয়।চলতি বছরের ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে ওই হাসপাতালের প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।