সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি বাদ দিয়ে পদত্যাগ করুন : এবি পার্টি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি-ধমকি বাদ দিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু। আজ শনিবার বিজয়নগরস্থ ‘বিজয় ৭১’ চত্বরে এক দফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ থেকে এ দাবি জানান তিনি। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় সকাল ১১টায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এবি পার্টি ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে সকাল ১১টা থেকে কালো পতাকা নিয়ে দলীয় কর্মীরা ‘বিজয় ৭১’ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী সকল মানুষের ওপর স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। স্বাধীন মত প্রকাশ ও ভোট দানের অধিকার তো দূরের কথা সরকার এখন হুমকি দিচ্ছে তারা আমাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সব কিছু নাকি বন্ধ করে দেবে। নমরুদ যেমন নিজেকে সব কিছুর নিয়ন্ত্রক ও সর্বশক্তিমান ভেবে যাকে খুশি তাকে হত্যা করে নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে চেয়েছিল, শেখ হাসিনাও নিজেকে একই রকম কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসক ভেবে নাগরিকদের সকল অধিকার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।’ অতীতের সকল স্বৈরাচারের মতোই তিনি তার অনিবার্য পরিণতির দিকে হাঁটছেন উল্লেখ করে মন্জু বলেন, ‘গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মূল বাধা একজন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের পক্ষ থেকে স্যাংশন দেওয়া এখন সময়ের দাবি।’ সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, দিল্লিতে প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে আগ বাড়িয়ে সেলফি তুলে, ওয়াশিংটনে বাইডেন দম্পতির সাথে ডিনার খেয়েও প্রধানমন্ত্রীর শেষ রক্ষা হয়নি। ভিসা নিষেধাজ্ঞা যেমন ঠেকানো যায়নি, তেমনি তথ্য উপদেষ্টার লুটের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা বন্ধ করা যায়নি। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, সারা দেশ যেমন কয়েক দিনের বর্ষার পানিতে ভিজে চুপসে গেছে, বর্তমান সরকারের দীর্ঘদিনের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, নৈরাজ্য, গুম-খুন ও স্বজনপ্রীতিতে দেশ ডুবে আছে। চারদিক থেকে এখন বাকশালী পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের হাত থেকে জাতি মুক্তি চায়। নির্যাতিত-নিষ্পেষিত জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এই লুটেরা সরকার পালাতে বাধ্য হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি জানান। সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক আমজাদ খান, মহানগর আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, সুলতানা রাজিয়া, শাহিনুর আক্তার শীলা, জেসমিন আক্তার মুক্তা, যুবনেতা মাসুদ জমাদ্দার রানা, উত্তরের সিনিয়র সদস্য সেলিম খান, আব্দুর রব জামিলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। SHARES রাজনীতি বিষয়: #এবি পার্টি
সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি-ধমকি বাদ দিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু। আজ শনিবার বিজয়নগরস্থ ‘বিজয় ৭১’ চত্বরে এক দফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ থেকে এ দাবি জানান তিনি। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় সকাল ১১টায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এবি পার্টি ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে সকাল ১১টা থেকে কালো পতাকা নিয়ে দলীয় কর্মীরা ‘বিজয় ৭১’ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী সকল মানুষের ওপর স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। স্বাধীন মত প্রকাশ ও ভোট দানের অধিকার তো দূরের কথা সরকার এখন হুমকি দিচ্ছে তারা আমাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সব কিছু নাকি বন্ধ করে দেবে। নমরুদ যেমন নিজেকে সব কিছুর নিয়ন্ত্রক ও সর্বশক্তিমান ভেবে যাকে খুশি তাকে হত্যা করে নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে চেয়েছিল, শেখ হাসিনাও নিজেকে একই রকম কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসক ভেবে নাগরিকদের সকল অধিকার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।’
অতীতের সকল স্বৈরাচারের মতোই তিনি তার অনিবার্য পরিণতির দিকে হাঁটছেন উল্লেখ করে মন্জু বলেন, ‘গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মূল বাধা একজন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের পক্ষ থেকে স্যাংশন দেওয়া এখন সময়ের দাবি।’ সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, দিল্লিতে প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে আগ বাড়িয়ে সেলফি তুলে, ওয়াশিংটনে বাইডেন দম্পতির সাথে ডিনার খেয়েও প্রধানমন্ত্রীর শেষ রক্ষা হয়নি।
ভিসা নিষেধাজ্ঞা যেমন ঠেকানো যায়নি, তেমনি তথ্য উপদেষ্টার লুটের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা বন্ধ করা যায়নি। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, সারা দেশ যেমন কয়েক দিনের বর্ষার পানিতে ভিজে চুপসে গেছে, বর্তমান সরকারের দীর্ঘদিনের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, নৈরাজ্য, গুম-খুন ও স্বজনপ্রীতিতে দেশ ডুবে আছে। চারদিক থেকে এখন বাকশালী পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের হাত থেকে জাতি মুক্তি চায়। নির্যাতিত-নিষ্পেষিত জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এই লুটেরা সরকার পালাতে বাধ্য হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি জানান।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক আমজাদ খান, মহানগর আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, সুলতানা রাজিয়া, শাহিনুর আক্তার শীলা, জেসমিন আক্তার মুক্তা, যুবনেতা মাসুদ জমাদ্দার রানা, উত্তরের সিনিয়র সদস্য সেলিম খান, আব্দুর রব জামিলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।