দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত ব্যাপক,অনেক এলাকা জলমগ্ন।

প্রকাশিত: ৯:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে অব্যাহত বৃষ্টিপাত। শরতের এই বৃষ্টিপাতে, জলমগ্ন হয়েছে অনেক গ্রাম,শহর ও লোকালয়। নদ-নদীর পানি বাড়ছে আবার। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৭২ ঘন্টায় আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ভোগান্তি বাড়বে জলবন্দী মানষের; এ কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

হাঁটু পানিতে ভাসছে বরিশাল নগরী

টানা বর্ষণে বরিশাল নগরীর অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। এর ফলে, ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।চলতি মাসের সাত দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের দুই ঘণ্টার অতি ভারী বৃষ্টিতে, নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নগরীর নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ টিনের ঘর, আধাপাকা ও পাকা ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে থাকায়, দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

শনিবার টানা বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ সড়ক প্লাবিত হয়েছে। নগরীর বটতলা থেকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা সড়ক, বটতলা আদম আলী হাজির গলি, অক্সফোর্ড মিশন রোড, করিম কুটির, কলেজ এভিনিউ, গোরস্থান রোড, বগুড়া রোড, বিএম স্কুল সড়ক, রূপাতলী হাউজিং, ধান গবেষণা সড়কের খ্রিস্টান কলোনি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা কলোনি, পার্শ্ববর্তী শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টার, কালুশাহ সড়ক, কাজিপাড়া এবং কাউনিয়া এলাকার সড়কগুলো পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া, বগুড়া রোড, বটতলা, কলেজ এভিনিউ ও গোরস্থান রোড এলাকার সড়কগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, “চলতি মাসের সাত দিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বজ্রসহ অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই দুই ঘণ্টায় ৪৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।”

চলতি মাসে বরিশালে ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিলো আবহাওয়া বিভাগ। কিন্তু, ১ অক্টোবর সকাল থেকে ৭ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবলভাবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেটে টানা বৃষ্টি, বাসা-বাড়িতে পানি

তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরী জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে। বেড়েছে সুরমা নদীসহ জেলার সবকটি নদী ও খাল-বিলের পানি।

তিন দিন ধরে সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। শুক্রবার রাত থেকেই পানি ঢুকতে শুরু করে নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের মধ্যে তলিয়ে যায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট। বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।