আফগান ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ধারাবাহিক ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা রবিবার তীব্রভাবে বেড়ে দুই হাজার ছাড়িয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রামের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকাদের খোঁজে এখনো কাজ করছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদদ এক্সে লিখেছেন, ‘১৩টি গ্রামে দুই হাজার ৫৩ জন মারা গেছে। এক হাজার ২৪০ জন আহত হয়েছে। এক হাজার ৩২০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।’হেরাতের প্রাদেশিক রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে শনিবার ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প এবং আটটি শক্তিশালী আফটারশক ঝাঁকুনি দেয়। ওই এলাকাগুলোতে পৌঁছনো কঠিন। কম্পনে গ্রামীণ বাড়িঘর ভেঙে পড়ে এবং আতঙ্কিত শহরের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে। সরকারের উপমুখপাত্র বিলাল করিমি রবিবার বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত, হতাহতের সংখ্যা কার্যত অনেক বেশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘চূড়ান্ত পরিসংখ্যান কেমন হবে তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’ ৩২ বছর বয়সী নেক মোহাম্মদ নামের একজন জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে প্রথম ভূমিকম্পের সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়িতে এসে দেখলাম, আসলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। সবকিছু বালিতে পরিণত হয়েছে।’বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবার গভীর রাতে বলেছে, ‘তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ ভূমিকম্পের সময় হেরাত শহরের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হলে স্কুল, হাসপাতাল ও অফিস খালি করা হয়। মেট্রোপলিটন এলাকায়ও হতাহতের কিছু খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর বিদেশি সাহায্যের ব্যাপক প্রত্যাহারের সঙ্গে আফগানিস্তান ইতিমধ্যে একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটের কবলে পড়েছে। ইরানের সীমান্তবর্তী হেরাত প্রদেশে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন লোকের বাসস্থান। অঞ্চলটি একটি বছরব্যাপী খরার শিকার হয়েছে, যা ইতিমধ্যে অনেক কৃষি সম্প্রদায়কে পঙ্গু করে দিয়েছে। আফগানিস্তান প্রায়ই ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণিতে, যা ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত। গত বছরের জুন মাসে একটি ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সূত্র : এএফপি SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #আফগানভূমিকম্প
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ধারাবাহিক ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা রবিবার তীব্রভাবে বেড়ে দুই হাজার ছাড়িয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রামের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকাদের খোঁজে এখনো কাজ করছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদদ এক্সে লিখেছেন, ‘১৩টি গ্রামে দুই হাজার ৫৩ জন মারা গেছে। এক হাজার ২৪০ জন আহত হয়েছে।
এক হাজার ৩২০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।’হেরাতের প্রাদেশিক রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে শনিবার ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প এবং আটটি শক্তিশালী আফটারশক ঝাঁকুনি দেয়। ওই এলাকাগুলোতে পৌঁছনো কঠিন। কম্পনে গ্রামীণ বাড়িঘর ভেঙে পড়ে এবং আতঙ্কিত শহরের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে।
সরকারের উপমুখপাত্র বিলাল করিমি রবিবার বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত, হতাহতের সংখ্যা কার্যত অনেক বেশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘চূড়ান্ত পরিসংখ্যান কেমন হবে তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’ ৩২ বছর বয়সী নেক মোহাম্মদ নামের একজন জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে প্রথম ভূমিকম্পের সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়িতে এসে দেখলাম, আসলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। সবকিছু বালিতে পরিণত হয়েছে।’বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবার গভীর রাতে বলেছে, ‘তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ ভূমিকম্পের সময় হেরাত শহরের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হলে স্কুল, হাসপাতাল ও অফিস খালি করা হয়।
মেট্রোপলিটন এলাকায়ও হতাহতের কিছু খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর বিদেশি সাহায্যের ব্যাপক প্রত্যাহারের সঙ্গে আফগানিস্তান ইতিমধ্যে একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটের কবলে পড়েছে। ইরানের সীমান্তবর্তী হেরাত প্রদেশে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন লোকের বাসস্থান। অঞ্চলটি একটি বছরব্যাপী খরার শিকার হয়েছে, যা ইতিমধ্যে অনেক কৃষি সম্প্রদায়কে পঙ্গু করে দিয়েছে। আফগানিস্তান প্রায়ই ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণিতে, যা ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত। গত বছরের জুন মাসে একটি ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সূত্র : এএফপি