যুদ্ধ থামানোর আরজি পোপ ফ্রান্সিসের

প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

ইসরায়েল এবং হামাস দুই পক্ষের কাছেই যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানালেন পোপ ফ্রান্সিস। রবিবার রোমের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে প্রার্থনাসভার পর বক্তৃতা দেওয়ার সময় এ কথা বলেছেন পোপ ফ্রান্সিস। পোপ বলেছেন, ‘যুদ্ধে কখনো কারো জয় হতে পারে না। মানবসভ্যতায় যুদ্ধ মানে বরাবরই হার।

কারণ যুদ্ধ মানুষের মধ্যে সদ্ভাব নষ্ট করে।’ তিনি গাজায় আরো মানবিক সাহায্য পাঠানোর আরজিও জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, দুই দিন ধরে গাজায় রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মানবিক সাহায্য পাঠানো শুরু হয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ সাহায্য যাচ্ছে, তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

এদিকে হামাস যাদের জিম্মি রেখেছে তাদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন পোপ। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করেছিল। এক মার্কিন মা ও মেয়ে ছাড়া এখনো পর্যন্ত কাউকে ছাড়া হয়নি। হামাস মাঝে জানিয়েছিল, ইসরায়েলের আক্রমণে বেশ কয়েকজন জিম্মির মৃত্যু হয়েছে।
পোপের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট ফোনে কথা হয়েছে ফ্রান্সিসের। পোপের মতামত নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন। 

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন ম্যাখোঁ
মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন তেল আবিবে। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল এবং ২০০ জনকে জিম্মি করেছিল, তার মধ্যে ৩০ জন ফ্রান্সের নাগরিক আছেন বলে ফ্রান্স জানিয়েছে। এর মধ্যে সাতজনের কোনো খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

কিভাবে তাদের ছাড়ানো যায়, তা নিয়ে একাধিকবার আলোচনায় বসেছেন ম্যাখোঁ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জার্মান চ্যান্সেলর, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ইসরায়েল গেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ফিলিস্তিনের নেতাদের সঙ্গেও তারা বৈঠক করেছেন। 

মিসরের কাছে ক্ষমা চাইল ইসরায়েল
ইসরায়েল জানিয়েছে, সংঘাত চলাকালীন তাদের একটি ট্যাংক ভুল করে মিসরের একটি পোস্টে আক্রমণ চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মিসরের কাছে ক্ষমা চেয়েছে তারা। গাজা সীমান্তের একেবারে কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। বস্তুত মিসরের এ অঞ্চলেই রাফাহ সীমান্ত। ওই সীমান্ত দিয়েই গাজা স্ট্রিপে মানবিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ওই সীমান্তের কাছে একটি বিরাট বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। ইসরায়েলের ট্যাংক মিসর সীমান্তে যে আক্রমণ চালিয়েছিল, তার ফলেই ওই বিস্ফোরণ কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মিসর জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই আক্রমণে বেশ কিছু সীমান্তরক্ষী আহত হয়েছেন।

এদিকে রবিবার থেকে গাজায় আক্রমণের মাত্রা আরো বাড়িয়েছে ইসরায়েল। উত্তর গাজায় লাগাতার বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এরপর সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে বলেও ইসরায়েলের সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।