গাজায় নিহতের সংখ্যা ৯৫০০ ছুঁই ছুঁই, ৭০ শতাংশই নারী শিশু বয়স্ক ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৮৮ হয়েছে। অবরুদ্ধ অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা গাজা সিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিন হাজার ৯০০ শিশু এবং দুই হাজার ৫০৯ জন নারী রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ২৪ হাজার মানুষ। ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের মধ্যে ৭০ শতাংশ শিশু, নারী এবং বয়স্ক মানুষ উল্লেখ করে আল-কুদরা বলেন, ‘মন্ত্রণালয় গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে এক হাজার ২৫০ শিশুসহ প্রায় দুই হাজার ২০০ মানুষ নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছে।’ মুখপাত্র আরো জানান, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ১৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন এবং ২৭টি অ্যাম্বুল্যান্স ধ্বংস হয়েছে। আল-কুদরা ইসরায়েলকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ১০৫টিরও বেশি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। ১৬টি হাসপাতাল ও ৩২টি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তু ও জ্বালানি স্বল্পতার কারণে পরিষেবার বাইরে রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, গাজার হাসপাতালগুলো আহত মানুষ এবং বিপজ্জনক ঘটনার কারণে সম্পূর্ণরূপে উপচে পড়েছে। প্রতিদিন আহতদের অনেকেই মারা যাচ্ছে। কারণ গাজার হাসপাতালে তাদের জন্য কোনো থেরাপিউটিক হস্তক্ষেপের ব্যবস্থা নেই। মুখপাত্র আশরাফ অভিযোগ করেন, ‘দখলদাররা ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর গাজা উপত্যকা ও গাজা সিটি থেকে আহতদের দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলোতে সরিয়ে নিতে রাফাহ ক্রসিং পর্যন্ত সব পথে বাধা দিচ্ছে।’ এ ছাড়া শুক্রবার গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুল্যান্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছে বলেও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের বিমান ও স্থল হামলা জোরদার করেছে। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে তারা নিরলস বিমান হামলা চালাচ্ছে। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #গাজা
গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৮৮ হয়েছে। অবরুদ্ধ অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা গাজা সিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিন হাজার ৯০০ শিশু এবং দুই হাজার ৫০৯ জন নারী রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ২৪ হাজার মানুষ।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের মধ্যে ৭০ শতাংশ শিশু, নারী এবং বয়স্ক মানুষ উল্লেখ করে আল-কুদরা বলেন, ‘মন্ত্রণালয় গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে এক হাজার ২৫০ শিশুসহ প্রায় দুই হাজার ২০০ মানুষ নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছে।’ মুখপাত্র আরো জানান, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ১৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন এবং ২৭টি অ্যাম্বুল্যান্স ধ্বংস হয়েছে। আল-কুদরা ইসরায়েলকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ১০৫টিরও বেশি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। ১৬টি হাসপাতাল ও ৩২টি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তু ও জ্বালানি স্বল্পতার কারণে পরিষেবার বাইরে রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, গাজার হাসপাতালগুলো আহত মানুষ এবং বিপজ্জনক ঘটনার কারণে সম্পূর্ণরূপে উপচে পড়েছে। প্রতিদিন আহতদের অনেকেই মারা যাচ্ছে। কারণ গাজার হাসপাতালে তাদের জন্য কোনো থেরাপিউটিক হস্তক্ষেপের ব্যবস্থা নেই। মুখপাত্র আশরাফ অভিযোগ করেন, ‘দখলদাররা ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর গাজা উপত্যকা ও গাজা সিটি থেকে আহতদের দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলোতে সরিয়ে নিতে রাফাহ ক্রসিং পর্যন্ত সব পথে বাধা দিচ্ছে।’
এ ছাড়া শুক্রবার গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুল্যান্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছে বলেও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের বিমান ও স্থল হামলা জোরদার করেছে। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে তারা নিরলস বিমান হামলা চালাচ্ছে। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি